শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০
চলতি মৌসুমে পাট কাটা ও জাগ দেয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর চাষিরা।
এবার ভালো ফলনসহ খাল-বিলে পানি থাকায় পাট জাগ দিতে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না চাষিদের। এতে খুশি চাষিরা।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহীতে শুধু তোষা জাতের পাটের আবাদ করা হয়। এ মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। এরইমধ্যে ৫৫ শতাংশ পাট কাটা শেষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ১৪ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জামিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার হেক্টর বেশি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার কয়েকজন পাটচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেলো কয়েক বছর পাটের ফলন ও দাম ভালো ছিলো।
তাই লাভের মুখ দেখতে এবছর অনেকেই আবাদের পরিমাণ বাড়িয়েছে।
পাট কাটার সময় আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দেয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
উপজেলার মধুপুর এলাকার পাট চাষি এনামুল জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। সাধারণত এক বিঘায় ১২ থেকে ১৪ মণ করে পাটের ফলন হয়ে থাকে।
এক বিঘা পাট আবাদে শুরু থেকে পাট জাগ দেয়া ও ছড়ানো পর্যন্ত যে খরচ হবে পাট বিক্রি করে সেই খরচ উঠবে কী না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে।
তারপরে আবার সরকারি পাট কল বন্ধ ঘোষণা করেছে। যদি বেসরকারি পাটকলগুলো সিন্ডিকেট করে পাটের দাম কমায়, তাহলে আরো বেকায়দায় পড়তে হবে তাদের।
কৃষক উজ্জল জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ফলন মোটামুটি হয়েছে। এবার পাট বাজারে ওঠার আগেই যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে দাম পাবো। তবে সরকারি পটকল খোলা থাকলে হয়তো আরো ভালো পেতেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, রাজশাহীতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। আবহওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
এবার বৃষ্টিপাতের কারণে পাটের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং শেষ সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের উপকার হয়েছে। পাট জাগ দেয়া নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
এ বছর পাটের গুনগত মান ভালো হয়েছে। এছাড়া প্রতিমণ পাট ১৬শ থেকে ১৮শ টাকা দরে বেচাবিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়