শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২
বউয়ের মন জয় করতে মানুষ কত কিছুই না করে। নানা রকম খাবার, প্রসাধনী উপহার দেন। তবে এবার মান ভাঙাতে কিংবা মন জয় করতে কিনতে পারেন ‘বউ ভুলানি’ আম।
গতকাল রোববার রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বসেছে বিভাগীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন ও আম মেলা। এ মেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জারিফ হোসেন নামের এক উদ্যোক্তা আম নিয়ে এসেছেন। তার স্টলে আছে বউ ভুলানি আম। কিন্তু ওই আম খেলে কী আসলেই মন বউয়ের মন ভুলানো যায়। এ প্রশ্ন জেগেছে অনেক দর্শনার্থীদের মনে।
আমের গায়ের রঙ দেখে মিজানুর রহমান নামের এক দর্শনার্থী স্টলের সামনে দাঁড়ান। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। ওই স্টলের হোল্ডারকে জিজ্ঞাস করলেন, আচ্ছা আমটা থেকে সুগন্ধ বের হচ্ছে। এ আমের নাম কী? ওই স্টলের মালিক জারিফ জানান, এটা বউ ভুলানি আম।
মিজান তো অবাক। এ নামেরও আম আছে। তিনি ওই স্টলের মালিককে বলেই ফেললেন এ আম বউকে খাওয়ালে কী তার মন ভোলানো যাবে। জারিফ মুচকি হেসে বলেন- এ আম আপনার বউকে খাওয়ালে মন ভোলানো যাবে কি না জানি না। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বউদের মন ভোলানো যায়।
এ আমের নামকরণের বিষেয় জনশ্রুতি আছে, এক ভদ্রলোক সবেমাত্র বিয়ে করেছেন। সে সময় আমের ভরা মৌসুম। বাজার থেকে ওই ভদ্রলোক আম কিনে বাড়ি নিয়ে গিয়ে তার বউকে খেতে দেন। আম খাওয়ার পর, আমের রং-ঢং নিয়ে প্রশসংসায় পঞ্চমুখ ওই নববধূ। কিন্তু নাম জানতে চাইলে ভদ্রলোক নাম বলতে পারেননি ওই আমটির। তবে তাৎক্ষণিক কায়দা করে ওই আমের নাম বলেন বউ ভুলানি। তখন থেকেই নাকি এ আমের নাম এটাই।
জারিফ হোসেন বলেন, আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে আম নিয়ে এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। সম্মেলনে বউ ভুলানি, দিলশাদ, শাঠিড়াক্যাড়াসহ ১১ জাতের আম আনা হয়েছে। বউ ভুলানি আম ২০০০-২২০০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করছি। এ আমের বাজারে অনেক চাহিদা, কিন্তু উৎপদন কম হয়।
বউ ভুলানি আম চেনার উপায় উল্লেখ করে জারিফ আরও বলেন, এ আমের আকার আকৃতি গোল। কাচা থাকলে গায়ের রং সবুজ থাকে। তবে পাকলে এ আমের হলুদ বর্ণের হয়। এ আম বেশ সুগন্ধযুক্ত। এ আমের প্রচার হলে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে আশাবাদী এ উদ্যোক্তা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ আমটি আশু জাতের। গোলগাল এ আমের গড় ওজন ২৯০-৩০০ গ্রাম। আটি পাতা, আঁশহীন ও খোসা পাতলা হয়। আমে মিষ্টির পরিমাণ শতকরা ২৩।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়