বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২২
রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে একটি গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি প্রাইভেটকার পুড়ে গেছে। গ্যারেজে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বহুতল ভবনে। এতে ভবনে থাকা একটি কনভেনশন সেন্টারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে, হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার পর ওই ভবন থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
স্থানীয়রা বলছেন, আগুন লাগার পর তাড়াহুড়ো করে তারা বাসা থেকে বেরিয়ে যান। ভবনটির ১১ তলাজুড়ে বেশ কিছু পরিবার বসবাস করে। ঘটনার পরই ওই ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়া হয়।
এই ভবনের ৬ তলার বাসিন্দা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত কুমার জানান, আগুন লাগার পরপরই তারা চিৎকার চেঁচামেচিতে জানতে পারেন। এরপরই সবাই যে যার মতো ভবন থেকে বের হতে শুরু করেন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অনেকেরই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, আগুন লাগার পরপরই গ্যারেজের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর উড়ে বাইরে এসে পড়ে।
গ্যারেজের এক কর্মী জানান, গ্যারেজে থাকা মোট ৫টি গাড়ির প্রতিটিই পুড়ে গেছে। তাদের গাড়ি মেরামত করার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনের সূত্রপাত ১১ তলা ভবনের পাশের কার কেয়ার সেন্টার থেকে। পরে তা বহুতল ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভবনের দ্বিতীয় দোতলা আগুনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের বাইরের দেয়ালজুড়েই আগুনের চিহ্ন।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, খবর পাওয়ার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। রাত ৪টা ২০ মিনিটে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। প্রথমে ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এলেও আগুনের ভয়াবহতা দেখে পরে আরও ১০টি ইউনিট আগুন নেভাতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে যোগ দেয় সেখানে।
তিনি জানান, কার কেয়ার সেন্টারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। পাশের বহুতল ভবনের দুই তলার ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই তলায় গ্র্যান্ড তোফা কনভেনশন সেন্টার। এখানকার আসবাবপত্র পুরোপুরিই পুড়ে গেছে। এ ছাড়া কার কেয়ার সেন্টারে থাকা ৫টি প্রাইভেট কারসহ এখানকার বেশ কিছু যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে।
এই কর্মকর্তা জানান, আগুনের শিখা প্রায় দশতলা ভবন পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। ১১ তলা ভবনের দশ তলার দেয়ালে আগুন উঠলেও ভেতরে শুধু দুই তলাতেই ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এই ভবনের বাসিন্দারা বেশির ভাগই নিচে নেমে আসেন।
তবে কিছু বয়স্ক মানুষ এবং শিশু ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। দমকল বিভাগের কর্মীরা তাদের নিচে নামিয়ে নিয়ে আসেন।
আব্দুর রউফ জানান, এখনো ক্ষয়ক্ষতির হিসাব সম্পন্ন হয়নি। তবে ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ২ কোটি টাকা হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়