মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ৪ ১৪৩০
|| ০৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে মশার উপদ্রবে নাকাল রাজশাহী মহানগরবাসী। বিগত কয়েক দিনে মশার উৎপাত বেড়েই চলছে। বর্ষার আগেই মশা বেড়ে যাওয়ায় নগরবাসীকে তাড়া করছে গত মৌসুমের ডেঙ্গুর ভয়। দিনের আলো কমে গেলে ঘরে-বাইরে মশার গুনগুন শব্দ বেড়ে যাচ্ছে। পড়ন্ত বিকেলে রাস্তা কিংবা বাড়ির ছাদে দাঁড়ালেই মাথার ওপর মশাদের জটলা দেখা যাচ্ছে।
দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এখনি মশা মারার উদ্যোগ না নিলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর কয়েকদিন আগেও সরকার প্রধানও মশার বিস্তার নিয়ে কথা বলেছেন।
মহানগরীর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষজন জানান, মহানগরীতে শীত শেষ হওয়ার পরেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশার উৎপাতে মানুষের কাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কয়েল ও মশারি টানিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার হাত থেকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ঘরে থেকে শুরু করে বাড়ির ছাদ অথবা ব্যালকনিতে বিভিন্ন জায়গায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ।
নগরবাসীর অভিযোগ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নগরীর ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করাসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় মশার প্রজনন দিন দিন বাড়ছে। গতবছর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের সময় মশা নিধনে অভিযান পরিচালনা করেছিলো। সে সময় মশক নিধনে কার্যক্রম পারিচালিত হতে দেখা গেলেও এখন আর দেখা যায় না।
অথচ শীতের মৌসুম যেতে না যেতেই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন একালায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। রাস্তাঘাট থেকে বাসা-বাড়ি, সর্বত্রই মশার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
শীতের মশা নিধণকর্মীদেরকে ওষুধ ছিটাতে দেখা গিয়েছিলো। কিন্তু শীতের পর তাদের আর দেখা যায়নি। নগরের অনুন্নত এলাকা, বস্তি, রাস্তার পাশের ময়লার ভাগাড়, ঝোপঝাড় ও বাসা বাড়ির আনাচে-কানাচে পরিষ্কার করতেও তেমন একটা দেখা যায়নি। সিটি করপোরেশন মশা নিধনে কাজ করলেও তা সন্তোষজনক নয়। ফলে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব।
হেঁতেম খাঁ এলাকার বাসিন্দা সুলতানা বেগম জানান, মশার কামড়ে অতিষ্ঠ তারা। স্কুল বন্ধ থাকায় সন্তানরা বাসায় থাকবে, এখন মশার কামড়ে বাসায় রাখতে পারছিনা। হাত-পা শরীর চুলকায়। মশার ওষুধ দিতে তো দেখলাম না অনেক দিন।
তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন বলছে ভিন্ন কথা। সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, রাসিকের মশক নিধন কার্যক্রম সারা বছরই চালু থাকে। বর্তমানে মশার প্রজননকাল চলছে। এজন্য নগরীতে মশার উপদ্রব কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে মশা মারার জন্য ফগার মেশিন বন্ধ থাকলেও ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে বলেও দাবি প্যানেল মেয়রের।
স/সা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়