বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের ছুটি শেষে সারাদেশে ফের শুরু হয়েছে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের কার্যক্রম। গতকাল বুধবার (২৭ মে) রাজশাহীতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৮২টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন ২৮ জন কারাবন্দী আসামি।
রাজশাহী জেলা জজ আদালতের বিচারক ও ভার্চ্যুয়াল কোর্ট বিষয়ক মুখপাত্র এমএ সাঈদ শুভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের আদালতে মোট ১০টি মামলায় জামিন আবেদন দায়ের করা হয়।
এরমধ্যে ৮টি মামলার জামিন আবেদন শুনানি হয়। শুনানি শেষে ২টি মামলায় মোট দুইজন আসামি জামিন পান। অবশিষ্ট ৬টি মামলায় হত্যা-ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকায় আটজন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
মহানগর দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসেনের আদালতে মোট ৫১টি জামিন আবেদন দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৪০টি মামলার জামিন আবেদন শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৮টি মামলায় মোট ১৮ জন আসামি জামিন প্রাপ্ত হন এবং অবশিষ্ট ২২টি ২২ জন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোট ৪৬টি জামিন আবেদন দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১৮টি মামলার জামিন আবেদন শুনানি হয়। শুনানি শেষে তিনটি মামলায় মোট তিনজন আসামির জামিন দেয়া হয়। বাকি ১৫টি মামলায় ১৫ জন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোট ১৬টি জামিন আবেদন দায়ের করা পাঁচজন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়। বাকি ১১টি মামলায় ১১ জন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি জামিন সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা আসে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। এ লক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের আইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে বলা হয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত ই-মেইল আইডিতে জরুরি জামিন আবেদন, সংশ্লিষ্ট দালিলিক কাগজাদি এবং ওকালতনামা (সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সদস্য নম্বর, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর) স্ক্যান করে সফটকপি ভার্চুয়াল আদালতে দাখিল করতে হবে।
আদালতের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এর ক্ষমতাবলে সুপ্রিমকোর্ট জারি করা ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসারে এই কোর্ট গঠন করার নির্দেশনা আসে। এদিকে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হওয়ার মাঝেই গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। দুই দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাজশাহীতে প্রথমে আগ্রহ না দেখালেও পরে আইনজীবীরা ভার্চ্যুয়াল কোর্টে অংশ নিচ্ছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়