শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২
প্রকৃতিতে বর্ষাকাল, আকাশে মেঘ-রোদের লুকোচুরি। বর্ষকাল এলেই বৃক্ষপ্রেমিদের মাঝে যেন প্রাণের নতুন সঞ্চার ঘটে। নানান গাছ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পরেন অনেকে। নতুন নতুন বাগানিরা আসে ভালোলাগার বৃক্ষগুলোর খোঁজে। আর পুরনো বাগানিরা আসে নতুন কোন জাতের বৃক্ষের খোঁজে।
প্রতিবারের ন্যায় এবছর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নগর ভবন মাঠে বসেছে বৃক্ষমেলা, মেলায় প্রায় ১৫ থেকে ২০টি নার্সারির অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এই মেলা। মেলায় এবছর মধ্যপ্রচ্যের জনপ্রিয় খেঁজুরের ৮টি জাতের নানা আকারের চারা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া “ব্রু নাই কিং” জাতের আম গাছের দেখা মিলবে মেলায়।
মেলায় রয়েছে দেশি বিদেশি ইনডোর, আউটডোর, অর্কিড, বনসাই, ঔষুধি, সার্কুলেন্টসহ নানা ফুল ফলগাছের সমাহার। সকাল থেকেই মেলাতে বৃক্ষ প্রেমিদের আনাগোনা ছিল বেশি। নানা বয়সের মানুষ এসেছে মেলায়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কর্মজীবি বা অবসরে যাওয়া মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এবছর মেলায় যেতে প্রথমেই দেখা মিলবে ফলের গাছের দোকান। সেখানে রয়েছে রাজশাহীর বিখ্যাত সব আমের পাশাপাশি নানান জাতের আম গাছের সংগ্রহ। কিউজাই আম, ব্যানানা আমসহ রয়েছে ত্বিন ফল, নেনি ফল, চায়না কমলা, প্যাশন ফল, থাই ভেরিগেট লেবু, কাশ্মীরি আনার, র্দাজিলিং আনার (ডালিম) সহ নানা জাতের ফলের গাছ। টবে রাখা ছোট গাছগুলো তাতেও ধরে আছে হরেক ফল।
সামনে যেতেই বাপাশে দেখা মিলবে বহুজাতিক বৃক্ষের সমাহার দোকানটিতে রয়েছে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টি প্রজাতির নানা আকারের গাছ। এছাড়া রয়েছে অ্যাডেনিয়াম, তেঁতুল, বট, পাইকর, বাগান বিলাস, চাইনা বটসহ জেড প্লান্টের ১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বনসাই।
মেলায় দেখা মিলবে ক্যকটাস, অর্কিড, দেশীয় ফুলসহ হাজারো জাতের গাছ। মেলাতে শোভা বাড়িয়েছে বাহারি রঙের অ্যাডেনিয়াম, পীস লিলি, রেইনি লিলি, সার্কুলেন্ট, এগ্লোনিমা, স্পাইডার প্লান্ট, এরিকা পাম, বাম্বু টি, মনস্টেরা ডেলিসিওয়াস, মন্ডভিলা, ঝিঝি প্লান্ট, ম্যারেন্টাস, অ্যারামেটিক জুঁই, বেলি, হাসনাহেনা অন্যতম ।
মেলায় চমক তৈরি করেছে নাটোর সদরের নার্সারি। তারা মেলায় ৮টি জাতের খেঁজুর গাছ নিয়ে এসেছে। এরমধ্যে অন্যতম মরিয়ম, আজওয়া, মেডজুল, কলমি মরিয়ম, সুগাই, নাগাল, কাঁচা-পাকা ইরাক। গাছগুলো দেখতে ভিড় করছে বৃক্ষ প্রেমিরা। ৪ ফিটের গাছটির দাম ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ফল ও ইনডোর প্লানের প্রতি বেশি আগ্রহ।
শিক্ষাথী মল্লিকা নসরিন বলেন, আমি প্রতিবছর মেলায় একবার হলেও আসি। ছোট থেকেই আমি গাছ সংগ্রহ করি। আমার ছাদ বাগান আছে। ৬ থেকে ৭টা গাছ পছন্দ করলাম, সবগুলোই সাকুলেন্ট ভ্যারাইন্টের ও এগোলানিমা। আরো কিছু গাছ কেনার প্লান আছে। তাছাড়া অর্কিড খুব কম দোকানে আছে। চাইনা বট পছন্দ মতো পেলাম না।
মোল্লা নার্সারীর বিক্রেতা রোহান বলেন, বৃক্ষ মেলা মানে বৃক্ষ প্রেমীদের সমাগম। প্রথম দিন থেকে বিক্রি ভালো হচ্ছে। এখনো সব গাছ নিয়ে আসতে পারিনি, এখানে প্রায় ১০০ থেকে ১১০ প্রজাতির গাছ আছে। মেলায় নতুন বাগানীদের বেশি দেখা যাচ্ছে। তারা মানি প্লান্ট, অ্যাডেনিয়াম, চাইনা বট, ক্যাকটাস বেশি কিনছে।
বৃক্ষপ্রেমী সিহাব উদ্দিন বলেন, আমি কিছু বিদেশি গাছ কিনতে এসেছি। আমার ছাদ বাগান আছে। এগুলোতে বিভিন্ন জাতের ফলের ও বারোমাসি ফুলের গাছ রয়েছে। নীল মনি লতা গাছ খুঁজছি। মেলায় আসলে অনেক নতুন জাতের গাছ পাওয়া যায়। বাগানিরা মেলা উপলক্ষে নিয়ে আসে, কিন্তু এবছর নতুন জাতের গাছের সংগ্রহ কম ।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়