বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২০
রাজশাহীতে নগরীতে স্বপন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর বাড়ির সামনে লাশ ফেলে রেখে গেল দুর্র্বৃত্তরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে নগরীর খড়খড়ি বাইপাসে কেচোয়াতোলা এলাকার নিজ বাড়ির সামনে স্বপনের মরদেহ ফেলে গেছে তারা। সকালে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত স্বপন ওই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একই দিন বিকেলে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতনামা আরও দুজনকে আসামি করে মামলা দয়ের করেছেন নিহতের ভাই মো. আনিসুর।
নিহত স্বপনের খালা রোকেয়া বেগম জানায়, তিনি উজিরপুকুর এলাকায় বসবাস করেন। সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মোসা. সামেনা ও মতিউর আমাকে (রোকেয়া) ডাকে। তারা বলে মেম্বার তোমাকে ডেকেছে। পথে তারা জানায়, তোমার বোনের ছেলে স্বপন পটল চুরি করেছে। তাই মেম্বারের বাড়ি তাকে ধরে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে স্বপন। স্বপন পানি খেতে চাইছিলো। তারা পানি না দিয়ে আবার ভ্যানে তোলে জাহাঙ্গীর, মতিউর, সামিউল। আর আমাকে (রোকেয়া) বলে স্বপনকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। পরে আমি বাড়িতে চলে আসি। কিন্তু মেম্বার আবুল কাশেম কিছুই বলেনি মতিউরদের।
স্বপনের ভাই আনিসুর জানায়, সোমবার রাত নয়টার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে স্বপন। উজিরপুকুর বিলের মধ্যে স্বপনকে ধরে পেটায় আসামিরা। স্বপনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বাম হাতে কাটা চিহ্ন রয়েছে। সেখানে ব্যান্ডেজ করা ছিলো। তিনি আরও জানায়, তারা ভাই স্বপনকে হত্যার পরে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়।
তিনি আরও জানান, স্বপন ঢাকা একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে গত রোজার ইদের কয়দিন আগে বাড়িতে আসে। এরপর ঢাকায় যাননি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা স্বপনের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুম মুনির বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহত স্বপনের ভাই আনিসুর। তবে আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। আসামিরা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়