শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২০
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার প্রত্যান্ত চরাঞ্চালের চকরাজাপুর ইউনিয়নের মধ্য কালিদাশখালি গ্রামের নারায়ন শিলের মৃত্যুর পর মা মুনুরানী (নারায়ন শিলের স্ত্রী) ও ২ ছেলে নিয়ে নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমভু সীল (৫০) (নাপিত)। বৃহসপতিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বার্দ্ধক্য জনিত কারণে ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেণ সমভু সীলের মা মুনুরানী।
কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও দেশের এই পরিস্থিতিতে তার সৎকারে এগিয়ে যাননি সনাতন ধর্মের কেউ। পরদিন শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে মনজু ডাইগোনেষ্টিক সেন্টারের পরিচালক ডাঃ মিঠুন শীলের তত্ববধানে কয়েকজন লোক সেখানে গিয়ে মৃত আত্তার সমাধীস্থ করা হয়।
তাদের সাথে মৃতের ছেলে-নাতীরা ওই ইউনিয়নের উত্তর কালিদাশখালি গ্রামের পদ্মা পাড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে সমাধীস্থ করেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল আযম।
এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের কাউকে দেখা যায়নি। তিনি জানান, তার ইউনিয়নের ওই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের আরেকটি কামার পরিবার বসবাস করেণ।
মৃত নারীর ছেলে সমভু সীল বলেন, বার্দ্ধক্য জনিত কারণে চলাফেরা করতে পারতোনা। দীর্ঘদিন ঘরেই শুয়ে ছিল। মারা যাবার পর তারা ছাড়া অন্যরা কেউ এগিয়ে আসেনি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সুজিত কুমার পান্ডে বাকু তার ফেসবুক আইডিতে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা হলো-স্বাভাবিক মৃত্যু সৎকাজের লোক নাই, সনাতন ধর্মের মানুষ,মৃত নারায়ন শিলের স্ত্রী মুনুরানী, বয়স পচাত্তর রাজশাহী, বাঘা থানার চকরাজাপুরের চেয়ারম্যান আজিজুল আলম আমাকে ঘটনাটি অভিহিত করলে, বাঘা মন্জু ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিক ডা: মিঠুন শীলের তত্ববধানে কয়েকজন লোক পাঠিয়ে মৃত আত্তার সমাধীস্হ করা হয়।
স/র
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়