শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
বর্ষ পেরিয়ে শরতের সবুজ-শুভ্র যৌবনে ভরপুর পদ্মা। পদ্মার জেগে ওঠা চরে কাশবন। শারদ-অহংকার চোখ-ধাঁধাঁনো কাশফুলের শ্বেত-শুভ্র স্নিগ্ধতা পদ্মা-সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পদ্মার ঢেউ আর কাশফুলের ঢেউ মিলে অন্যরকম মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। এ মুগ্ধতায় ভ্রমণপিপাসুদের উতল আনন্দরসেভরপুর আকুল মন- মেতে ওঠে, মজে ওঠে নিষ্ঠ অনুভবে।
রাজশাহী নগরীসহ উপজেলাগুলোর পদ্মার পাড় ঘেঁষেও এমন সৌন্দর্যের হাতছানি। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর পদ্মা গার্ডেন, ট্রি-বাঁধ, আই বাঁধ, মুক্তমঞ্চসহ পাউবোর ট্রি-গোয়েনে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের ঢল নামছে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর পদ্মা গার্ডেন, টি-বাঁধ, আই বাঁধ, মুক্তমঞ্চ ঘুরে দেখা যায়, পদ্মাপাড়ে সারিসারি নৌকা দাঁড় করানো রয়েছে। মাঝিদের হাঁকডাকে মুখরিত চারিধার। নগরীর পঞ্চবটি এলাকা থেকে টি-বাঁধ পর্যন্ত নৌকা ভ্রমণের সঙ্গে শুভ্র কাশফুলের ছোঁয়া নিতে অনেক ভ্রমণ পিপাসুই নৌকায় উঠছেন। তবে মুক্তমঞ্চ ও সীমান্ত নোঙরের পাশে খুব সহজেই কাশফুলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সুযোগ মিলছে।
তবে শুধু সৌন্দর্যের মাঝে আবেশিত হওয়া নয়; স্মৃতির পাতায় প্রিয়জনের সঙ্গে ফ্রেমবন্দিও করতে দেখা যাচ্ছে। ফ্রেববন্দি করছেন না এমন সৌন্দর্য পিপাসুর সংখ্যা খুবই নগণ্য। পরিবার নিয়ে পদ্মা পাড়ে ঘুরতে এসেছিলেন রাফসান- এলিনা দম্পতি। ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চার সঙ্গে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগে মেতেছিলেন তারাও।
তারা জানান, রাফসান একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। খুব একটা ছুটি পান না। শুক্রবারে দুপুর তিন টার দিকে বাসা থেকে তারা ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। পদ্মার পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। নৌকায় ভ্রমণ করেছেন। এখন পদ্মায় পানি বেশি। তাই কিছুটা ভয় করছিল। তবে ঘুরতে খুবই ভালো লেগেছে তাদের। তাদের ছোট্ট মেয়ের হাতে বেলুনের সঙ্গে কাশফুলও দেখা যায়।
রাজশাহী নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম জানান, মাঝে মাঝেই পদ্মার পাড়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে আসেন তিনি। পদ্মার পাড়ের বাতাস, বাতাসে কাশফুলের ঢেউ, বিকেলে প্রকৃতির ভিন্ন এক রূপ এগুলো নিমিষেই মন ভালো করে দেয়। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে কাশবনের মাঝে ছবি তুলেছি। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের স্মৃতির ওয়ালেও তা ধরে রেখেছি।
পদ্মার পাড় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে রাসেল আহমেদ। সে জানায়, সে সারাবছরই প্রায় নগরীর বিনোদন স্পটগুলোতে বাদাম বিক্রি করে। পদ্মার মাঝে কাশফুল ফুটলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। এখন বিকেলের চিত্র দেখলে মনে হবে হয়তো কোনো উৎসব চলছে। একারণে তার বেচাবিক্রিও ভালো বলে জানায় সে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়