বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
নিয়ম অনুসারে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার ভোটগ্রহণের বাকি মাত্র মাস দুয়েক। ইতিমধ্যে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য একডজন মেয়র পদপ্রার্থীরা। তবে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে নেই ক্লিন ইমেজের সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীরা।
সচেতন পৌরবাসীরা আশা করছেন আশ্বাসের ফুলঝুড়ি নয়, তারুণ্যের হাতে দ্বায়িত্ব অর্পিত হলে জরাজীর্ণ পৌরসভায় অত্যাধুনিক মানের ছোঁয়া আসবে।
জানা গেছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় এক ডজন সম্ভাব্য মেয়র পদ প্রার্থীরা দলীয় সমর্থন পেতে ও ভোটারদের খোঁজখবর নিতে মাঠে নেমেছেন।
এদের মধ্যে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীরা নাগরিকদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ সবুজ সংকেতের আশায় দলীয় হাইকমান্ডে ছোটাছুটি শুরু করেছেন।
তারা প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি নীরবে অসহায় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে সার্বক্ষণিক সার্বিক সহযোগিতা করছেন। এতে সাধারণ মানুষদের মাঝে তাদেরকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
পৌরবাসী আমজাদ হোসেন বলেন, ২০০১ সালে এই পৌরসভা গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন আইনী জটিলতা কাটিয়ে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মত এখানে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু ভোটের প্রায় দেড় বছর পর আইনী প্রক্রিয়ায় মেয়র বদল হয়। তবে পৌরসভা গঠন থেকে প্রায় ১৯ বছর অতিবাহিত হলেও এলাকাবাসীরা নূন্যতম নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
এমনকি পৌরসভা নিজেস্ব কোনো ঠিকানায় পৌছাতে পারেনি। দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা শুধু রুটিন মাফিক দায়সারা কাজ করছেন। যা পৌরবাসীদের মান উন্নয়নে কোনো কাজে আসছে না। তাই আগামী নির্বাচনে আধুনিক মানের নাগরিক সেবা প্রদান করতে সুশিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের মেয়র হতে হবে।
শরিফুল ইসলাম নামের অপর একজন পৌরবাসী বলেন, ভোটের সময় প্রার্থীরা জনকল্যাণের নামে লম্বা একটি তালিকার নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করেন। ভোট শেষ তাদের ওয়াদা শেষ।
এ যাবৎ পর্যন্ত কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা পৌরসভা এলাকা ঘুরে দেখলে সকলের নজরে আসবে। ব্যাপক অনিয়মের কারণে বর্তমানে পৌরসভা এলাকায় রাস্তা-ঘাটের যা কাজ হচ্ছে তা অতি নিম্নমানের।
ছয় মাস না যেতেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। নির্বাচনী ইস্তেহারে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সার্বক্ষণিক ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা, জনদূর্ভোগ এড়াতে সকাল রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, সুপেয় পানি সরবরাহ ও জলাবদ্ধতা নিরসণে ড্রেন নির্মাণ, সকল এলাকায় সড়ক বাতি স্থাপন, খেলার মাঠ উন্নয়ন, বিনোদনের জন্য উদ্যান তৈরির ওয়াদা করা হয়। যা বর্তমানে প্রতিশ্রুতি ছাড়া বাস্তবায়নের কোনো নমুনা নেই।
সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, পৌরসভাটি জন্মলগ্ন থেকেই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর কোনো নিজস্ব ভবন আজও গড়ে ওঠেনি।
পাশাপাশি নাগরিকদের সেবার মানও অতিনিন্মমানের। দল ও জনগণ চাইলে আমি নির্বাচিত হয়ে পৌরসভাকে একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলবো।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়