শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২০
রাজশাহী অঞ্চলে আমপাড়ার আইনি বাধা শেষ হয়েছে গত ১৪ মে। গত ১৫ মে থেকে আমপাড়া শুরু করার কথা থাকলেও এবার হাট ও আড়ৎগুলোতে কেনাবেচার তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।
বাগান মালিকরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রায় সবাই লকডাউনে আছেন। এরপর সামনে ঈদ। রোযার পর থেকে আমের বাজার পুরোদমে জমবে বলে আশা করছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলার সর্ববৃহৎ আম আড়ৎ বানেশ্বরবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমের হাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস মাঠ পুরোই ফাঁকা পরে আছে। রবিউল ইসলাম নামে একজন চাষি ভ্যানে করে আম ১৫০ কেজি আম বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেন।
এরপর থেকে পুরো আমের হাট আবারো ফাঁকা হয়ে গেছে। বানেশ্বর ও তার আশেপাশের বেশির ভাগ আড়ৎঘরগুলো বন্ধ পড়ে আছে। হাতে গোনা মাত্র দু’তিনটি আড়ৎ খোলা রয়েছে।
হাটে আমের দর দেখতে আসা বাগান মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আম ভাঙ্গা শুরু হলেও আবহাওয়ার কারণে এবার আম একটু দেরিতে পাকবে। তাছাড়া ঈদের বাকি আছে আর মাত্র ৪/৫ দিন। ঈদের পরই সবাই আম নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। এবার বেশির ভাগ বাগানগুলোতে পর্যাপ্ত আম ধরেছে।
তার ওপর বড় রকমের দুর্যোগ না হওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুন আম উৎপাদন হবে। তবে করোনা ও লকডাউনের কারণে এবার আমে বাজার কেমন হবে বলা মুশকিল।
স্থানীয় আড়ৎদার রাজু আহম্মেদ বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৫ তারিখে আম ভাঙ্গা শুরু হলেও বর্তমানে বাজার এখনো জমে উঠেনি। করোনার প্রভাবের কারণে ও সামনে ঈদের আগে মনে হয় চাষিরা আম পাড়তে চাচ্ছেন না।
যার কারণে এখন সারাদিনে হাতে গোনা কয়েক ভ্যান আম কেনাবেচা হয়। বর্তমানে গুটি জাতীয় আমের মৌসুম চলছে।
আমের প্রকার ভেদে ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। তবে লকডাউনের কারণে আম আড়ৎগুলোতে দেশে বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ক্রেতাদের আগমণ এখনো শুরু হয়নি।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান বলেন, গত ১৫ তারিখে আমপাড়া শুরু হলেও এখনো বাজার ভালো ভাবে জমে উঠেনি। তবে আম আড়ৎ ও বাগানগুলোতে সার্বক্ষণিক আমাদের মনিটরিং রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে জেলা প্রশাসক এক সভায় স্থানীয় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কয়েকটি ধাপে আম ক্রয়-বিক্রয়ের নিদের্শনা দেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ মে থেকে আর্টি জাতীয় আমপাড়া শুরু হবে।
গোপালভোগ আগামী ২০ মে, রানীপ্রসাদ ও লক্ষণভোগ ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন এবং আশ্বিনা আমপাড়া শুরু হবে ১০ জুলাই থেকে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়