শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সকল প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের মধ্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান। এছাড়াও কিছু শিক্ষক নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে বতর্মান প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এম মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিস্ময়ে লক্ষ্য করছি কয়েকজন শিক্ষক, কেবলমাত্র বর্তমান প্রশাসন আমলের কথিত অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সব থেকে বড় আলোচিত এবং পরবর্তীতে তদন্তে প্রমাণিত ১০ কোটি টাকার অতিথি ভবন দুর্নীতির ঘটনা। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মিজানউদ্দিনের আমলে সংঘটিত এই কেলেঙ্কারী তারা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তারা এড়িয়ে যাচ্ছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে আর্থিক অনিয়ম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অনিয়মসহ সাম্প্রতিক সময়ে তদন্তাধীন অনেক একাডেমিক দুর্নীতির বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নৈতিক মনোবলে বিশ্বাসী কোনো শিক্ষক তো সকল অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার চাইবেন। কিন্তু তা না করে খন্ডিত কিছু কথিত অনিয়মের বিষয় উপস্থাপন কি তাহলে প্রকৃত দুর্নীতির আড়ালের চেষ্ঠা?’
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের’ উদ্দেশে সংগঠনের নেতারা বলেন, কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য হলে সেটি তো দলের মাধ্যমেই এই দাবি উপস্থাপন করার কথা। কিন্তু তারা দলে এধরনের দাবি উত্থাপন না করেই ‘অযৌক্তিক’ আন্দোলন করছে। তারা প্রমাণ করতে পারবে না বলেই ভিন্ন উপায় বেছে নিয়েছে। দলের সভায় তাদের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এসময় আগের প্রশাসনের সময়ের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন শিক্ষক সমাজের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দীন, লাইব্রেরী প্রশাসক অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র শীল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান, ভুতত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়