শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
উত্তরাঞ্চলে বইছে হালকা ও মাঝারি শৈত প্রবাহ। ফলে শিশুদের ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্টজনিত নিউমোনিয়া রোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। রামেক হাসপাতালে নিউমোনিয়ার চেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগী বেশি দেখা গেছে।
ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে একদিনে ২০ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত দুইমাস থেকে গতকাল রোববার ( ৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৯০টি শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনে এই শীতে বেশির ভাগ শিশু শ্বাসকষ্ট ,সর্দি, কাশি, জ্বর, ফ্লু-সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু অসুস্থ হওয়ার পেছনে তাপমাত্রা, ধূলাবালি ছাড়াও শিশুদের অযতেœর কথা উঠে এসেছে। এছাড়াও নবজাতক শিশুদের প্রতি বেশি যতœশীল হতে হবে বলে জানান রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১০ ও ২৪ নং শিশু ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্টার্ড চিকিৎসক মামুন জানান, গত ২ মাসে ৯০ টি শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এই ৯০ টি শিশুর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ২৪ থেকে ২৫ টি। তার মধ্যে একটি শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ৫৯টি শিশু বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। রিলিজ দেয়া হয়েছে ৩০টি শিশুকে।
নবজাতক শিশু ওয়ার্ড থেকে সহকারী অধ্যাপক ড. মৃণাল কান্তি দাস বলেন, নিউমোনিয়া মূলত ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ। ডায়রিয়া তীব্র শীতে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি শিশুদের শীতজনিত ডায়রিয়া হয়। এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ধরনের ডায়রিয়া ঠেকানো যায়।
আবার সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিলে পুরোপুরি সেরে যায়। মা বাবাকে মনে রাখতে হবে শীতের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট বা নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস ইত্যাদি রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়ায়ও প্রচুর শিশু আক্রান্ত হয়, যাকে বলে কোল্ড ডায়রিয়া। সাধারণত বুকের দুধ পান করার পর বা ছয় মাস বয়সী শিশু থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের এ ধরনের ডায়রিয়া বেশি হয়। ছয় মাসের কম বয়সীদেরও কোল্ড ডায়রিয়া হতে পারে, তবে বুকের দুধ পান করায় তাদের ডায়রিয়া তেমন পরিলক্ষিত হয় না।
তিনি আরও বলেন, নবজাতকের ওজন ১ দশমিক ৮ হলে দেরি না করে হাসপাতালে নিতে হবে। কারণ, এসময় শারীরিক তাপমাত্রা কম থাকে। ওজন ১ দশমিক ৮ এর বেশি হলে বাড়িতেই যতœ নিতে হবে। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখতে অবশ্যই মায়ের সচেতনতা বাড়াতে হবে। এই শীতে শিশুকে যার তার কাছে দেয়া যাবে না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরাতে হবে। শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে সহনীয় কাপড়ে আবৃত করতে হবে।
ধূলাবালি ও ঠান্ডা বাতাস থেকে আগলে রাখতে হাত, পা,কানে, মাথায় টুপি ব্যবহার করতে হবে। যে ঘরে শিশুকে রাখা হবে সেই ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়