শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময়ই সোচ্চার ও সচেতন ছিলেন। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অংশগ্রহণ, সেসময়কার অগ্রণীদের মতোই।
২১শে ফেব্রুয়ারির দিন শেখ মুজিব রাজপথে ছিলেন না, ছিলেন রাজবন্দী হয়ে কারাগারে। সেখানে থেকেও ভাষা আন্দোলনে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ ধর্মঘট আহ্বানে সম্মিলিত এক বিবৃতিতে সই করেন শেখ মুজিবুর রহমান, নইমুদ্দিন আহম্মদ, আবদুর রহমান চৌধুরী। ওইদিন পিকেটিং করেন শেখ মুজিব, শামসুল হক, অলি আহাদসহ অনেকে এবং বন্দী হন। মূলত ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত, এবং পরবর্তী সময়েও দফায় দফায় আন্দোলন, সংগ্রাম, গ্রেপ্তার, জেল খাটার মধ্য দিয়েই যায় শেখ মুজিবের সময়। এমন কি তাঁর ছাত্রত্বও বাতিল হয়েছিলো।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন আহম্মদসহ রাজবন্দীরা রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ১৯৫২ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। তখন অসুস্থতার কারণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয় তাঁদের। বন্দী অবস্থায় অবশ্য সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আছে যে, ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবসহ প্রত্যেক রাজবন্দী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটান। পরে রাতে কর্তব্যরত সিপাহীদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, সেদিন ঢাকায় গোলমাল এবং পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত ও গ্রেপ্তার হবার খবর। সেদিন বিক্ষোভকারীরা জেলগেটে এসে স্লোগান দিয়ে, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি জানান।
শেখ মুজিব লেখেন যে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের ওরকম আচরণ কাম্য নয়। তিনি মুসলিম লীগের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও আভাস পেয়েছিলেন। একইসঙ্গে এও বুঝতে পেরেছিলেন যে, পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। পরবর্তী সময়ে জেল থেকে মুক্ত হয়ে নানা কর্মসূচিতে শেখ মুজিব, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, রাজবন্দীদের মুক্তি, ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং অত্যাচারকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এরপর বহু ত্যাগ তিতীক্ষা, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়