বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৯
বাবরি মসজিদের রায় নিয়ে নতুন করে বাড়াবাড়ি না করতে ভারতসহ অন্যান্য দেশের মুসলমানদের অনুরোধ করেছেন দিল্লী জামে মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি। রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নামক ঐতিহাসিক মামলার রায় নিয়ে মুসলমানদের সংহত থাকার আহ্বান জানান দিল্লীর এই ইমাম। তিনি বলেছেন, মুসলমানরা শান্তি চান এবং এই মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবেন তা মেনে নিবে শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আদালত দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। অযোধ্যায় ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেন আদালত। পাশাপাশি নতুন করে বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করে দেয়ার জন্য কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশনাও দেন আদালত।
আদালতের রায় ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আহমেদ বুখারি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে নিয়েছি। এতে করে হিন্দু-মুসলিমদের দীর্ঘদিনের চলমান দ্বন্দ্বের অবসান হবে বলে আমরা মনে করছি। সংবাদ সম্মেলনে রায়ের বিপরীতে আপিল করা হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে, তিনি বলেন-এই বিষয়টি নিয়ে আর টানাহ্যাঁচড়া করাটা ঠিক হবে না। ভারতের মুসলমানরা শান্তি চান। তারা আদালতের রায়ের পূর্বেই বলতেন-যে রায় হবে তারা তা মেনে নিবেন।
ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দিরের অবস্থান নিয়ে চলমান এই দ্বন্দ্ব প্রায় শত বছরের পুরনো বলেই জানা গেছে। দীর্ঘপ্রতিক্ষিত এই রায়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন যে, গ্রহণযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেন নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হয় এবং সেটি তত্ত্বাবধান করবে উত্তর প্রদেশ সরকার অথবা কেন্দ্র সরকার।
এদিকে তথ্যসূত্র বলছে, ষোল শতকে ভারতের মুঘল সম্রাট বাবর এই অঞ্চল দখল করে এখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন। কয়েক শতাব্দী ধরে চলমান দ্বন্দ্বের পর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের উগ্রপন্থী কর সেবক দলের সদস্যা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেন। এর পরে এটি নিয়ে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি আপিল করা হয়। রায়ে বলা হয়েছিল অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লা, এই তিন সংস্থার মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দিতে হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়