বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
আবুল কালাম আজাদ সনি, চারঘাট
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২০
ফাইল ছবি।
বিকেল হলেই রং-বেরঙের ঘুড়ি উড়তে দেখা যাচ্ছে রাজশাহীর চারঘাটের আকাশে। কেউ ঘুড়ি উড়াচ্ছেন বাড়ির ছাদে। কেউ বা আবার খোলা মাঠ বা নদীর ধারে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে একরকম বন্দি জীবন কাটাচ্ছে চারঘাটবাসী।
ফলে শিশু-কিশোররা পড়েছে চরম অসুবিধায়। একদিকে স্কুল-কলেজ বন্ধ, অন্যদিকে খেলাধুলারও উপায় নেই।
সারাদিন টিভি, মোবাইল গেম, ফেসবুক চালিয়ে যেন হাপিয়ে উঠেছে তারা। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে এখন বাড়ির ছাদে ও খোলা জায়গায় ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ লাভের চেষ্টা করছেন।
ঘুড়িপ্রেমীরা জানালেন, ‘আমাদের দেশে পঙ্খীরাজ, মালাদ্বার, কাউঠাদ্বার, চাপালিশ, চশমাদ্বারসহ বিভিন্ন নামের ঘুড়ি আছে। তবে ঘুড়ির চেয়েও বেশি দৃষ্টি কাড়ে এর লেজ। ঘুড়ি অনেক আকৃতির ও রং-বেরঙের হয়ে থাকে। এর সঙ্গে ঘুড়ি উড়ানোর লাটাইয়ের নামও বেশ আকর্ষণীয়। যেমন- বাটিওয়ালা, মখুবান্ধা, মুখছাড়া ইত্যাদি।’
আফরোজা ইয়াসমিন নামের একজন ঘুড়িপ্রেমী জানান, গত মাসের শুরুর দিকে ঢাকা থেকে চারঘাটে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে লকডাউনে আটকে গেছেন। দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে থেকে আর ভালো লাগছে না। তাই বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিদিন বিকেলে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়ান। এতে একদিকে বাচ্চারা যেমন গ্রামবাংলার হারাতে বসা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছে, অন্যদিকে তাদের চিত্ত-বিনোদনেরও সুযোগ মিলছে।
তিনি আরও জানান, লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তাই কাগজ ও পলিথিন কেটে ঘুড়ি তৈরি করাও শেখাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া কাঁথা সেলাইয়ের সুতা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন তিনি। এতে বাচ্চারা খুব মজা পাচ্ছে।
গোপালপুর পদ্মা নদীর ধারে ঘুড়ি উড়াতে আসা মিঠুন নামের এক ছাত্র বলেন, ‘ঘরে বসে বসে টিভি-সিনেমা দেখতে এখন আর ভালো লাগে না। তাই মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলেই ঘুড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।’
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের মনে চিত্ত-বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়