শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০
বরেন্দ্রের মাটিতে প্রায় একযুগ আগে পাকা বাড়ি করেছিলেন শরিফ উদ্দিন। ফাঁকা মাঠে বাড়ি হওয়াই সে সময় সখের বসে বাড়ির পাশ দিয়ে রোপন করেছিলেন ১০টি সুপারির গাছ। গাছগুলো বড় হলে বাড়বে বাড়ির সৌন্দর্য। এমনই উদ্দেশ্য ছিল শরিফের।
সময়ের সাথে সাথে গাছগুলো বড় হয়েছে, বাড়ির সৌন্দর্যও বেড়েছে। সৌন্দর্যে সাথে সুপারির গাছগুলো এখন শরিফের জন্য এক আর্শিবাদ হয়ে উঠেছে। বিনা খরচে সুপারি থেকে প্রতি বছর তার আয় হয় ২০ হাজার টাকা। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে পরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পাশে শরিফ উদ্দিনের বাড়ি।
শরিফ জানান, বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে সখের বসে প্রায় ১২ বছর আগে বাড়ির চার পাশে ১০টি সুপারি গাছ লাগানো হয়েছিল। লাগানোর ৫ বছর পর প্রথম ফলন পান। গাছে ফলনের প্রথম ২ বছর সুপারি কম হলেও এখন সুপারির ফলন অনেক বেশি। প্রতিটি গাছে বছরে ৪ থেকে ৫টি ছড়া হয়। আর প্রতি ছড়াতে ২০০ বেশি সুপারি পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, প্রতিটি গাছে বছরে ২ হাজার টাকার বেশি আয় হয় তার। সে হিসাবে তার ১০টি গাছ থেকে বিনা পরিশ্রমে ২০ হাজার টাকা আয় হয় বছরে। শরিফ বলেন আমি গাছ লাগানোর সময় কোন দিন ভাবিনি বরেন্দ্রে মাটি এমন গাছ ও ফল পাবো। আমি শুধু বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য গাছ গুলো রোপন করেছিলাম। এখন গাছগুলো পরিবারের জন্য আর্শিবাদ হয়ে উঠেছে। সব আল্লাহর দান।
তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, বরেন্দ্রে মাটি এখন গুণে ভরা। আগে এ অঞ্চলে সুপারির গাছ হবে এমন কল্পনা করা যেত না। বর্তমানে সৌদির আরবের খেজুর গাছ, ডাব, সুপারি গাছসহ সকল প্রকার চাষাবাদ হচ্ছে এ মাটিতে। এছাড়াও সুপারি একটি অর্থকারী ফসল। শরিফের সুপারিটি একটি উচ্চফলনশীল জাত। এই জাতের সুপারির ফলন অত্যন্ত বেশি। তবে পরিমাণে বেশি হয় বলে সুপারির আকার কিছুটা ছোট হয়। তিনি আরো বলেন, শরিফের সুপারির গাছের ফলন দেখে বরেন্দ্রে কৃষকেরা আরো বেশি উৎসাহ হবে। বরেন্দ্রের মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে সুপারি চাষ করা গেলে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়