শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২১
সুদবিহীন ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে কথিত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ফরম বিক্রি করে নারীদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মজিবুর রহমান নামে এক যুবক। এ কারণে একটি স্কুলের এই কর্মচারী যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার গোয়াবাসিনী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মজিবুরকে প্রতারণার দায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ। পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়। কাওসারের বাড়ি মহানগরীর বুধপাড়া এলাকার। তিনি ওই এলাকার শহীদ জিয়াউর রহমান হাইস্কুলের অফিস সহকারী।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এনজিওকর্মী না হয়েও মজিবুর কাটাখালীর গোয়াবাসিনা গ্রামের নারীদের কাছে গাইবান্ধার একটি এনজিও’র ফরম বিক্রি করেন। সুদবিহীন ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০ নারীর কাছে এক হাজার টাকা করে নেন।
এছাড়াও তিনি করোনাকালীন সময়ে নারীদেরকে বিশেষ সুবিধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন। এতে হঠাৎ করে সমিতিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। তবে সমিতির সদস্য হওয়ার পরও কেউই তার কাছ থেকে ঋণ পাননি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ বলেন, ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী তাকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতারক মজিবুর রহমান প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভুয়া গাইবান্ধার ‘বাদিয়াখালী দুস্থ মাতা মহিলা সমিতি’র নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে গ্রামের নারীদেরকে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ‘ফরম বাণিজ্য’ করছিল।
স্থানীয় প্রায় ২০০ নারী তার ফাঁদে পড়ে এক হাজার টাকা দিয়ে ফরম কিনেছেন। মজিবুরের কাছ থেকে আরও ৫০০টি ফাঁকা ফরম জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়