শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২১
নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগমের পনেরো থেকে ষোলো বছর বয়সে যে পরীক্ষা দেওয়ার কথা, সেই পরীক্ষা দিচ্ছেন চল্লিশ বছর বয়সে। ছোটবেলায় সুযোগ-সুবিধার অভাবে পড়ালেখা করতে পারেননি। তবে চল্লিশ বছর বয়সেও হাল ছাড়েননি তিনি।
জানা যায়, রাজশাহীর কয়ামাজমপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে কারিগরি বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির (ভোকেশনাল) ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রের ২০২ নম্বর কক্ষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর জলিদা বেগমের বাড়ি দুর্গাপুর পৌর এলাকার নান্দোপাড়া গ্রামে। তিনি এবারের দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন সিংগা-বহরমপুর, রৈপাড়া ও নান্দোপাড়া-চৌপুকুরিয়া ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তিনি তিন সন্তানের জননী।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জলিদা বেগম বলেন, 'সুযোগের অভাবে ছোটবেলায় লেখাপড়া করতে পারিনি। অভাবের সংসার হওয়ায় বাবা মা ছোটবেলাতেই বিয়ে দিয়ে দেন। তাই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন জনসেবা ও সাংসারিক জীবনের পাশাপাশি লেখাপড়া শুরু করেছি। কারণ আমি আমার জীবনকে নতুনভাবে গড়তে চায়।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, 'নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগম ২০২১ শিক্ষাবর্ষে কয়ামাজমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় নবম শ্রেণির ভোকেশনালে ভর্তি হন। এ বছর তিনি কারিগরি বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।'
জলিদা বেগমের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'বয়স বেশি হলেও পড়ালেখার ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা তিনি ভালোভাবে দিচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে কোনো জড়তা দেখা যায়নি। লেখাপড়ার প্রতি জলিদা বেগমের এই আগ্রহ অনেক স্বল্পশিক্ষিতকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।'
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়