বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২০
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় কোন্দল কাটিয়ে কিছুতেই যেন ভোটের মাঠে নামতে পারছে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নির্বাচনী যুদ্ধের আগে কোন্দলেই হারতে বসেছেন চসিক নির্বাচনে দলটির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি দলীয় কোন্দল মোকাবেলা করতে না পেরে কিছুটা হতাশও তিনি।
কোন্দল নিরসনে কেন্দ্রীয় বিএনপি উদ্যোগ নিলেও তা কোনও কাজে আসছে না। বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব রহমান শামীম বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিতে কোন্দলের কারণে আমরা এখনও নির্বাচনের মাঠে নামতে পারিনি। তারপরও মহানগরের সব নেতাকে নিয়ে আমরা বৈঠক করব। এছাড়া মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিয়েও মিটিং করা হবে।’
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিতে ছয়টি গ্রুপ রয়েছে। অন্তঃকোন্দলের জের ধরে গ্রুপগুলো অতীতে বহুবার সংঘাতে জড়িয়েছে। সর্বশেষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে ফের সংঘাত শুরু হয়েছে। কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ইতোমধ্যে ছাত্রদল, যুবদল এবং বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। অনেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। দলের এ কোন্দল নির্বাচনের আগে চরম আকার ধারণ করতে পারে বলেও দাবি করেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির ছয় গ্রুপের মধ্যে উপ-গ্রুপ রয়েছে দুই ডজনের বেশি। বিএনপির একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ গ্রুপটি মাঠপর্যায়ে পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
আরেকটা গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালের একটি বলয় সক্রিয় রয়েছে নগরীতে। বাবা-ছেলে মিলে এ গ্রুপটির তদারকি করেন।
মেয়র ৬ প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বলয় রয়েছে নগরীতে। শাহাদাতের দূরত্ব রয়েছে সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারেরও রয়েছে পৃথক একটি গ্রুপ। বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও বিগত সময়ের তার নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি সামাল দিচ্ছেন দলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি সবাইকে এক কাতারে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সামনের দিনে কী হয়, তা বলতে পারবো না।’
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, মেয়র নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর জন্য এখনও সবাইকে একসঙ্গে আনা যাচ্ছে না।
চসিক নির্বাচনে এই কোন্দলের প্রভাব পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিভেদ দূর করতে পারলে হয়তো সমস্যা হবে না। তবে সেটা পারা না গেলে জটিল অবস্থা মোকাবেলা করতে হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়