রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২২ ১৪৩১
|| ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আমার রাজশাহী ডেস্ক :
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৩
তাসনুভা শিশির। বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠিকা। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তাকে নিয়োগ দেয় এক দেশীয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। সারাদেশে হইচই ফেলে দেয় সেই ঘটনা।
৮ মার্চ (সোমবার) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাসনুভা আনান শিশির নামের সংবাদ পাঠিকা বৈশাখী টেলিভিশনে তার প্রথম সংবাদ বুলেটিন উপস্থাপন করেন, যা বাংলাদেশের জন্য এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। সেই তাসনুভা শিশির এখন সূদুর আমেরিকায়।
সেখানে যুক্ত আছেন থিয়েটারের সঙ্গে। কৈশোরে বিদ্বেষ, ঘৃণা, হয়রানির শিকার হয়েছেন তাসনুভা শিশির। বাধ্য হয়েছেন পরিবার ছেড়ে দূরে থাকতে। শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন, কাজ করেছেন থিয়েটারে।
একজন শিল্পী হিসেবেই নিজেকে গড়ে তুলতে চেয়েছেন শিশির। আর নিজের স্বপ্নপূরনে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে তিনি এখন মার্কিন মুলুকে। নিজেকে বিশ্বমঞ্চে জাহির করে যাচ্ছেন তিনি। ১৩ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির ওলি ম্যামাত থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়েছে ‘পাবলিক অবসিনিটিস’ নামের একটি নাটক। এতে শিশির অভিনয় করেছেন সৌ নামের একটি চরিত্রে। নাটকটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র সৌ। নাটকটি দুইমাসব্যাপী মঞ্চস্থ হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে।
এ প্রসঙ্গে তাসনুভা শিশির বলেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘পাবলিক অবসিনিটিস’ মঞ্চস্থ হচ্ছে। এটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এর আগে নিউ ইয়র্কে ৬০টির বেশি শো করেছি আমরা। দ্বিতীয় ধাপে শো চলছে এখন। নতুন শোগুলোতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে শো চলবে। এরপর নিউ ইয়র্কে ফিরে গিয়ে মার্চ মাস পর্যন্ত এই নাটকটি মঞ্চস্থ করবো আমরা।
এই নাটকটির মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন উল্লেখ করে শিশির জানান, এই নাটকটি আমাকে নিজের দেশের কথা মনে করায়। নাটকে আমার চরিত্রটি একদম সাধারন এক দেশি চরিত্র। আমাদের দেশের সাথে রিলেটেড। গ্রাম বাংলার কমন চরিত্র এটি। তাই এর মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরে ভালো লাগছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি চরিত্র নির্বাচনে খুব সচেতন। যে চরিত্রের মাধ্যমে জীবনদর্শন ফুটিয়ে তোলা যাবে, আমি সেগুলোতেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। এই নাটকটি তেমনই একটি।
বিশ্ব থিয়েটার ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে চান উল্লেখ করে শিশির বলেন, আমি নিজের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বকরতে চাই। শুধু আমেরিকার থিয়েটারেই নয়, বিশ্বের যেকোন প্রান্তেই কাজ করতে চাই। নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই। ভিন্ন ভিন্ন নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। শিখতে চাই, জানতে চাই।
দেশের পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে শিশির জানান, একদিন অবশ্যই নিজের দেশের নির্মাতাদের সঙ্গে আমি কাজ করবো। সেই স্বপ্ন সবসময় লালন করি। আমি আমার দেশের থিয়েটার অঙ্গনে বিচরণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করবো যদি সেই সুযোগ পাই। আমি যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। প্রতিনিয়ত জীবনের নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগিয়ে চলছি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়