রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২২ ১৪৩১
|| ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আমার রাজশাহী ডেস্ক :
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
চলতি বছর আগাম জাতের আলুর বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাচ্ছেন জয়পুরহাটের প্রান্তিক চাষিরা। আলু বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, মজুরি, সেচসহ অন্যান খরচ বৃদ্ধিতয়ে আলু চাষে খরচ বাড়লেও বাজারে আলুর দাম থাকায় স্বস্তিতে কৃষকরা।
জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয়েছে ৪৫-৫০ মণ । আলু চাষে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের লাভ হচ্ছে গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা।
আলু চাষি রফিক জানান, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আলু বীজ লাগিয়েছিলাম। বর্তমানে ফলন আসা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩-৪ মণ আলু বাজারে বিক্রি করেছি। এখনো ক্ষেতে ৪৫ মণের অধিক আলু আছে। পুরান আলুর চেয়ে নতুন আলুর চাহিদা থাকায় ভাল দাম পাচ্ছি।
ভাদসা গ্রামের কৃষক জামিল হোসেন বলেন, চলতি বছর ৩০ হাজার টাকা খরচে রোমনা জাতের আলু রোপণ করেছিলাম। আলুর ফলন একটু কম হলেও বাজারে চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে ২৩০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেছি। তবে লাল আলুর দাম একটু বেশি। লাল জাতের আলুর ছোট বড় প্রকারভেদে দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। খরচ বাদে ২০-২৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, চলতি বছর আগাম জাতের আলুর ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। গতবারের তুলনায় ফলন একটু কম, তবে বাজারে নতুন আলুর চাহিদার পাশাপাশি ভাল দাম পাচ্ছেন চাষিরা। এতে করে খ্রচ বৃদ্ধি পেলেও লোকসান হবেনা চাষিদের।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়