শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০১৯
ঈদ-উল-আযহার আর মাত্র একদিন বাকি। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শহর ছাড়ছেন নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। ফলে একদিকে যেমন শহরে নিরবতা নেমে আসছে, অন্যদিকে জেগে উঠছে গ্রাম। শিক্ষার্থীসহ নানা পেশাজীবি মানুষ গ্রামে ফেরার কারনে ঘরে ঘরে বইছে উৎসবের আমেজ। জমে উঠছে গল্প, আড্ডা।
‘শিক্ষা নগরী’ খ্যাত রাজশাহীতে বসবাসকারীদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি। যারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে রাজশাহীতে পড়াশোনা করেন। তাদেরকে ঘিরেই পরিচালিত হয় রাজশাহী নগরীর সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রাইভেট কোচিং সেন্টারগুলো ছুটি হয়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। এতে করে ফাঁকা হয়ে পড়েছে নগরী।
আর যারা এখনো নগরীতে আছেন, তারা প্রতিদিন ভিড় করছেন বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনে। ৭ আগস্ট থেকে স্কুল, কলেজ ছুটি হওয়ায় নাড়ির টানে পাড়ি জমাচ্ছেন বাড়িতে। শনিবার বিভিন্ন দুরপাল্লার গণপরিবহন স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। ঈদের আনন্দ প্রিয়জনদের সাথে ভাগাভাগি করতে। বন্ধুদের অনেকেই বাড়ি চলে গেছে। গ্রামের বাড়িতে সবাই উন্মুখ হয়ে আছে আমার যাওয়ার আশায়। তাদের সাথে জমে উঠবে ঈদ আড্ডা।
এদিকে, ঘরমুখো যাত্রীরা আসন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে পরিবহনগুলোতে সওয়ার হচ্ছেন। প্রিয় মানুষদের সাথে ঈদ করার আনন্দে জীবনঝুঁকি নিয়ে রওনা দিচ্ছেন বাড়ির দিকে। গুনছেন যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া, সহ্য করছেন ভোগান্তি।
রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা যাবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে। স্টেশনে তার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, রাজশাহী থেকে সকাল ৯টায় ট্রেন; কিন্তু এখন ১০টা বাজে। ট্রেন আসেনি। কখন আসবে তাও জানা নেই।
শনিবার নগরী ঘুরে দেখা গেছে, যানজট নেই শহরে। নগরীর ব্যস্ততম এলাকা সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকা ছিল ফাঁকা। ফাঁকা রাস্তায় স্বস্তিতে মানুষ যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। তবে মার্কেটগুলোতে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন মানুষজন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়