শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিদ্যমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সচিব সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সভায় অংশ গ্রহণ করেন। সভায় দুই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দুই বিষয়ের মধ্যে আছে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সি সব শিক্ষার্থীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকার আওতায় আনতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগ পর্যন্ত অনলাইন ও অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে হবে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেলটা প্ল্যান, সেগুলো মাথায় রেখে গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে হয়। কেননা, আমাদের একটাই লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো যেন উন্নত জীবন পায়।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর যেতে হবে এবং সে পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো যেন উন্নত জীবন, দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি, অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিত্সার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও যেন একইভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেভাবে আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন এবং বাংলাদেশটাকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আমরা সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করছি ঠিক সে সময়ে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ব্রিফিং
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ব্রিফিং করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সর্বশেষ ক্রয়সংক্রান্ত সভায় ৬ কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আমাদের জানিয়েছে, বিভিন্ন উত্স থেকে ২১ কোটি ৪ লাখ ডোজের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ৩ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা আমরা ক্রয় করেছি। দেশের মানুষকে ২ কোটি ৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন ১ কোটি ৪ লাখ হাতে আছে। ধাপে ধাপে সেগুলো দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা কার্যক্রম ভার্চুয়ালি হোক বা অনলাইনে হোক চলুক। পাশাপাশি একটা ‘কমফোরটেবল সিনারিও’তে আসলেই যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সভায় খাদ্য সচিব প্রথমে খাদ্যের অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। খাদ্য এবং কৃষির সমন্বয় প্রয়োজন। যাতে কোনোভাবেই দেশের খাদ্যের ঘাটতি না হয়। সেটি কৃষি বিভাগ যাতে স্পষ্ট করে দেয়, চাহিদা অনুযায়ী আমাদের উত্পাদন কতটুকু। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে আমদানি করবে, আর উদ্বৃত্ত থাকলে তো সেক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, খাদ্য এবং কৃষি একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। গতকালের সভায় ১৭ জন সচিব বক্তব্য দেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়