শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২০
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫০ বছর পরে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম আবদুল খালেক অসুস্থ।
আজ সোমবার (২৭ জুলাই) তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল গ্রামে। তার বয়স এখন ৮৩ বছর। গত ৬ জুন নতুন প্রকাশিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে তার নাম উঠেছে। গেজেট বিভ্রাটের কারেণ তাঁর বীর বিক্রম স্বীকৃতি পেতে এই বিলম্ব হয়েছে।
হাসপাতালে বীর বিক্রম আবদুল খালেকের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বড় ছেলে মাসুম আক্তার জামান। তিনি জানান, তিন-চার দিন থেকে তাঁর বাবার জ্বর ও কাশির সমস্যা দেখা দেয়। গত রোববার রাতে তিনি মাথার যন্ত্রণায় খুব কাতরাচ্ছিলেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু জরুরি বিভাগ থেকে তাঁকে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত মিশন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছিল। করোনা পরীক্ষার আগেই তারা সেখানে যেতে রাজি হননি। অবশেষ বেলা ১টার দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। এখানেও তার বাবাকে হাসপাতালের ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত তার বাবাকে মাইক্রোর ভেতরে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। তারপরে একটা ওষুধ দেওয়ার পরে তার বাবা ঘুমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী বলেন, বীর বিক্রম আবদুল খালেকের শরীরের করোনার উপর্সগ রয়েছে। তাছাড়া তার অক্সিজেন কমে আসছে। এই জন্য তাকে করোনা ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যেন তাঁকে যত্ন নেওয়া হয় সে জন্য তিনি হাসপাতালের পরিচালককে আবদুল খালেকের বিষয়ে অবগত করেছেন।
গেজেট বিভ্রাটের কারণে এতদিন বীর বিক্রম আব্দুল খালেক স্বীকৃতি পানি। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত গেজেটে এক ধরণের ভুল ছিল, ২০০৪ সালের গেজেটে আরেক ধরণের ভুল। প্রথমবার লেখা হলো ‘এক্স নেভী’। পরেরবার সেনাবাহিনী। তাঁর অফিয়াল নম্বরের শেষে ১৯ এর জায়গায় ভুলবশত লেখা হয়েছে ৯১ যা ছিল পাঞ্জাবী সৈন্যের।
২০১১ সালে জনতা ব্যাংক এর পক্ষ থেকে ঠিকানাবিহনী খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে তার বাবার নাম ও নৌবাহিনীর পদবী ও সার্ভিস নম্বর দেওয়া ছিল। তার ভিত্তিতে তারা গেজেট সংশোধন করার জন্য আবেদন করেন। সে আবেদন মন্ত্রণালয় থেকে হারিয়ে যায়। গত বছর নতুন করে আবার আবেদন করেন। এরপর স্বীকৃতি মেলে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়