শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০
রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার চারটি হরিণ খেয়ে নিয়েছে ক্ষুধার্ত ৫টি কুকুর। শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে সকালেই হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্ট অংশ মাটিচাপা দেয়া হয়। কুকুরের পেটে যাওয়া চারটি হরিণের তিনটিই বাচ্চা। একটি তাদের মা।
রাজশাহীর এই চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করে সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল জানান, গত তিন মাসে হরিণের ১৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছিলো। সেডে মোট হরিণ ছিলো ৭৫টি। কুকুরে খাওয়ার পর এখন হরিণের সংখ্যা ৭১টি রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাত দুইটা পর্যন্ত ওই সেডের পাশে শ্রমিকরা কাজ করেছে। করোনার কারনে অধিকাংশ কর্মচারীর ছুটি ছিলো। তাই ঠিকমত তদারকি হয়নি। ভোররাতের দিকে ৫টি ক্ষুধার্ত কুকুর সেডে ঢুকে যায়। করোনার কারণে খাবার না পেয়ে কুকুরগুলো ক্ষুধার্ত ও হিংস্র হয়ে উঠেছিলো।
তিনি জানান, ভোরে শ্রমিকরা সেডের কাছে গিয়ে ভেতরে ৫টি কুকুর দেখতে পায়। পাশেই চারটি হরিণের ক্ষতবিক্ষত মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, লুকোচুরির ঘটনা ঘটনা ঘটেনি। এটা একটি দুর্ঘটনা। আমাদের ধারণা, ক্ষুধার্ত কুকুরগুলো প্রথমে বাচ্চাগুলোকে আক্রমণ করেছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়েছিল মা হরিণটি। তখন মাকেও আক্রমণ করেছে কুকুরগুলো। এ ঘটনায় চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ককে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই তিনি প্রতিবেদন দেবেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়