মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১
|| ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দরিদ্র, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা লাভের সহায়তা হিসেবে ২০০৭-০৮ অর্থ বছর থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করে। সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে শুরুতে ১২ হাজার ২০৯ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় মাসিক উপবৃত্তির হার প্রাথমিক স্তরে ৩০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৪৫০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৬০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১০০০ টাকা।
বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় অর্থাৎ ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজর ৪১ জন এবং বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৬.০০ কোটি টাকা। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ১৫০ জনে এবং বার্ষিক বরাদ্দ ৬ কোটি টাকা থেকে ৮ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০১০-১১ অর্থ বছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২০ জনে এবং বার্ষিক বরাদ্দ ৮.৮০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮০ হাজার জনের জন্য বরাদ্দ ৫৪.৫০ কোটি টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
এই ধরনের সেবা গোদাগাড়ী উপজেলাতেও শুরু থেকেই চালু আছে যা উপকারভোগীরা তা পেয়ে আসছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা সমাজসেবা অফিস হতে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই ধরনের সেবা চালু ছিলো না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল শ্রণীর মানুষের মাঝে সুবিধা সমান ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে প্রতিবন্ধী শিক্ষা ভাতা অন্যতম। ২০১৮ সাল পর্যন্ত শুধু মাত্র রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ৩৩৭ জন প্রতিবন্ধী মাসিক হারে ভাতা পেয়ে যাচ্ছে।
প্রাথমিক স্তর মাসিক ৫০০ টাকা হারে ১৯০ জন, মাধ্যমিক স্তরে ৬০০ টাকা হারে ১২৭ জন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৭০০ টাকা হারে ১৪ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২০০ টাকা হারে ৬ জন শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়ে যাচ্ছে যা প্রতিবছরে মোট টাকা পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ২২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা। গত ১০ বছরে এর মোট পরিমাণ হয় ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়