শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০১৯
আকাশে কখনও কালো মেঘ, কখনও আবার সূর্যের উঁকি। প্রকৃতির এ খামখেয়ালীকে সঙ্গী করে মঙ্গলবার বিকেল না হতেই মানুষ ছুটে এসেছেন চারঘাটের সারদায় অবস্থিত রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ পার্কে।
পদ্মা নদীর তীরবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ায় অনূকুল পরিবেশে উপচে পড়া ভিড়ে যেন জনস্রোতে রূপ নিয়েছে।
তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষের মিলন মেলার কেন্দ্র পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা এই জায়গার নাম দিয়েছেন নিরিবিলি আবার জোরে বাতাস প্রবাহের কারনে হাওয়াখানা বলেও অবহিত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউবা তুলছেন সেলফি কেউবা নিজ ও প্রিয়জনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন স্মৃতির পাতায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই পার্ক। ঈদের প্রথম দিন হালকা বৃষ্টি থাকলেও এখানে বেশি মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
যানজট ও কোলাহলহীন ঘুরে বাড়ানোর মাঝে অনেকেই খুঁজে পেয়েছেন নির্মল আনন্দ। নদীর পাড়ে বসে শিশুরা যেমন কাটাচ্ছে আনন্দময় সময়, বড়রাও অবসর সময়টা উপভোগ করছেন হাসি আর আড্ডায়।
ঈদের দিনেই পদ্ম নদীপাড়ে ও বাঁধের ব্লক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকায় যেন মানুষের ঢল নেমেছে। দুপুর গরিয়ে বিকেল হওয়ার সঙ্গেই বিনোদনপ্রয়াসী শত শত মানুষের পদচারণা ক্যাডেট কলেজ পার্ক ও নদী ঘিরে। ফলে সব বয়সী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এটি।
নাটোর এলাকা থেকে সারদার ক্যাডেট কলেজ পার্কে বাইক নিয়ে ঘুরতে আসা, রকি,রতন,বিপ্লব সবুর সহ অনেকে বলেন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সারদা ক্যাডেট কলেজ পার্ক ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। প্রতি ঈদেই এখানে আসি। যার ধারাবাহিকতায় এবারও এসেছি।
তারা জানান, এখানকার নদীর ধারের নির্মল বাতাস ও নদীর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো এ রকম জায়গা উপজেলায় আর নেই।তাছাড়া সন্ধ্যা নামলে ভারতের মোবাইল নেটওয়ার্কের আলো দেখা যায় সেটাও দেখতে ভালো লাগে।
সারদা বাজারের ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন, ক্যাডেট কলেজ পার্ক ছাড়াও নদীর ধারে উপচেপড়া ভিড়। তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর এমনকি বৃদ্ধরাও একটু মুক্ত পরিবেশে বেড়াতে এসেছেন এখানে।
তিনি আরও জানান, সারা বছর মানুষের আনাগোনা থাকলেও ঈদের ছুটিতে এখানে জনস্রোত নামে। ঈদের ছুটিতে স্বস্তির জায়গা হিসেবে পরিচিত এই এলাকা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়