শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
আমার রাজশাহী ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২০
করোনাভাইরাস সংক্রমণ যেভাবে ঘটছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশের মানুষের জীবনের পাশাপাশি অর্থনীতিরও ক্ষতি হবে বলে সতর্ক করে নতুন করে ১৫ থেকে ২০ দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের প্রস্তাব এসেছে একটি আলোচনা সভা থেকে।
ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, আমলা ও উন্নয়ন গবেষকদের এই আলোচনায় মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সমন্বয় জোরদারেরও পরামর্শ এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘রিসার্জেন্ট বাংলাদেশ: রোডম্যাপ টু রিকভারি’ শিরোনামের এই সংলাপে উন্নয়ন গবেষক আহসান এইচ মনসুর, এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন অংশগ্রহণ করেন। শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহও আলোচনায় অংশ নেন।
নতুন করে লকডাউনের প্রস্তাব করে নিহাদ কবির বলেন, আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে আমরা ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য যদি একটা কঠোর লকডাউন দিতে পারি তাহলে পরবর্তীতে আমাদের অর্থনীতি পূনরুদ্ধারে ততটাই উপকার হবে।
এই ব্যবসায়ী বলেন, এই মুহূর্তে সামনে এগিয়ে যেতে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন না হতে চাইলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ ছুটির মতো বিভ্রান্তিকর কোনো তথ্য না দিয়ে একেবারে কঠিন একটা লকডাউন দিতে হবে। তারপর একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করে সে অনুযায়ী ধাপে ধাপে সকল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে হবে।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এই মুহূর্তে স্বল্প মেয়াদি লাভের কৌশল অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে না, বরং তাতে ‘বিরাট ক্ষতি’ হয়ে যেতে পারে। স্বল্প মেয়াদে অর্থনৈতিক লাভের জন্য যদি আমরা করোনাভাইরাস বাড়তে দেই তাহলে পরবর্তীতে মাসের পর মাস আমাদের ভুগতে হবে। এটা ব্যবসায়ী সমাজকেও বুঝতে হবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান মনসুর বলেন, এখনকার পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিগগির সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অন্যান্যা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাংলাদেশ সময়মতো খুলতে পারবে না। আমরা যদি সংক্রমণ বন্ধ করতে না পারি তাহলে চীন থেকে যেসব ব্যবসায়ী অন্য দেশে বিনিয়োগের দেশ খুঁজছে, তখন সেসব ব্যবসায়ী বাংলাদেশে আসবে না। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে উল্টো আমাদের দেশ থেকে চীনা ও জাপানিরা চলে যেতে পারে।
পরিস্থিতির উত্তরণে নতুন করে লকডাউন দেওয়ার প্রস্তাব করে তিনি বলেন, আরও কিছু দিনের জন্য যদি একটা কঠোর লকডাউন করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে অনেক বেশি লাভ হতে পারে। লকডাউন দিলে কঠোর লকডাউন দিতে হবে। যদি আবার একটা লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে এরমধ্যে বাস ট্রেন কিংবা সাধারণ মানুষের যাতায়াত অব্যাহত থাকে তাহলে কিন্তু হবে না। তা না হলে আমরা এমন এক দিকে যাচ্ছি যেখানে সবাই (বিনিয়োগ ও ব্যবসা) আমাদের দিকে না এসে অন্যদিকে চলে যাবে। তবে ভবিষ্যতের যে কোনো সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিতে হবে বলে মনে করেন আহসান এইচ মনসুর।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সংলাপ, গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (বিল্ড) এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ এই সংলাপ আয়োজনে সহযোগিতা করে। সূত্র- বিডিনিউজ
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়