মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ৩১ ১৪৩১
|| ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে জরিপে যারা এগিয়ে থাকবে তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জরিপে যারা এগিয়ে থাকবে তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেখানে ছোট নেতা, বড় নেতা দেখা হবে না। যাকে মনোনয়ন দেব তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নইলে বিপদ হবে। ক্ষমতায় আসছি মনে করে নিজেদের মধ্যে যে আসন খাওয়া-খাওয়ির মনোভাব তা পরিহার করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষাৎ পর্ব শেষ হয়। সাক্ষাৎ পর্বে কারও সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ হয়নি বলে জানান মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪ হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রিতে বিস্ময় প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এতে দলীয় ফান্ড সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে সারাদেশে দল যে নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে তা এর মাধ্যমে পরিষ্কার ফুটে উঠেছে।
তিনি বলেন, যেসব আসনে মনোনয়নপত্র বেশি কেনা হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব শূন্যতা রয়েছে, সেখানে যত বড় নেতাই হোক না কেন, তারা পার্টিকে অর্গানাইজ করতে পারে নাই। এটা তাদের নেতৃত্ব শূন্যতার প্রমাণ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষমতায় আসলে অনেক পদ ক্রিয়েট করা হবে, সেখানে সবাইকে একমোডেট করা হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জরিপ চালিয়েছি। এর ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। কোনো প্রার্থীর প্রতি ভোটারের সমর্থন আছে, সেটা বিবেচনায় নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রার্থীতা বিরোধিতা ও প্রার্থীর বিপক্ষে বিরোধিতা করা হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। একটা সিটও হারাবো কারো এমন মনোভাব পোষণ করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলের যারা ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়ে আছেন তাদেরকে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে না। গত দুই নির্বাচনে ক্ষমতায় এনেছি, এবারো আমিই ক্ষমতায় আনবো- এটা মনে করে কোনো লাভ নেই। প্রার্থীর নিজ নিজ যোগ্যতা, দক্ষতা, রাজনৈতিক ত্যাগ-তীতিক্ষা থাকতে হবে। জনসম্পৃক্ত হতে হবে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে, কর্মী আছে, ভোট আছে কিন্তু ইদানীং দৃশ্যমান কর্মী নেই। ১৯৮১ সালে নেতৃত্বে এসে দলকে সংগঠিত করেছি। তিলে তিলে এই দলকে গড়ে তুলেছি। আমি, রেহানা, জয়, পুতুলসহ আমার পরিবারের সদস্যরা অনেক অসহায় সময় পার করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু কেউ আওয়ামী লীগকে দমাতে পারেনি। এখনও নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়