শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২০ ১৪৩১
|| ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে জানিয়ে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন চায় না তৃণমূল বিএনপি। এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনা মোতায়েন করা যেতে পারে বলে দাবি তুলেছেন দলটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেন দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার ও প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে এবং দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা। তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
বৈঠকে সিইসিকে নেতারা বলেন, 'তৃণমূল বিএনপির মূল স্স্নোগান হলো "সুষ্ঠু রাজনীতি সুশাসনের ভিত্তি", আমরা বিশ্বাস করি রাজনীতিক সুস্থ না হলে কোনো দিন সুশাসন সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি আপনি ও আপনার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। আপনাদের আগামীদিনের কর্মকান্ডে তা প্রমাণিত হবে বলে আশা করি।'
বর্তমান কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছা পোষণ করে দলটির নেতারা নির্বাচন উপলক্ষে ইসি বরাবর বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। তৃণমূল বিএনপির দাবিগুলো হচ্ছে- পবিত্র সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার; নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনে নিয়োজিত যা নির্বাচনকে প্রভাবিত
করতে পারে- এরকম প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ইসির হাতে রাখা, বিশেষ করে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনও বদলিসহ প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকা; নির্বাচনকালীন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান সুযোগ সৃষ্টি, অর্থাৎ লেভেল পেস্নইং ফিল্ড তৈরি; যদি কোনো দল বা প্রার্থী ন্যায্য দাবি বা অভিযোগ করে, তাহলে দ্রম্নততম সময়ে তা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া।
নেতারা বলেন, সমাজের বড় একটি অংশ ভোট থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছে। তারা ভোটদানে বিরত থাকছে। যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই নেতিবাচক দৃষ্টান্ত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভোট প্রত্যেকটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। তাদেরকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে হবে এবং ভোটের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।
নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি টিভির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনের সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। এতে জনগণের আস্থা অর্জিত হবে। আমরা নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল, আমরা মনে করি সব রাজনৈতিক দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। এজন্য ইসিকে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
এ ব্যাপারে আমরা তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্র যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটের ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোষণা করতে হবে এবং প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরকৃত ফলাফল শিট প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধির কাছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
পরবর্তী উপজেলা সদরে দেশি-বিদেশি মিডিয়াসহ প্রত্যেক প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তির সামনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। যাতে করে ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে না পারে। বিভিন্ন দেশ থেকে যেন বেশি বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসতে পারে, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি থাকতে হবে। যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি হতে না পারে। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়