শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮
জামায়াত -বিএনপি শাসন আমলে রাজশহী মহানগরে পুলিশ পাহারায় অস্ত্রধারী জঙ্গি সোডাউন হয়েছিল। সেই সোডাউনে নেতৃত্ব দেন শতাধিক জঙ্গি নেতা। এর মধ্যে প্রধান জঙ্গি নেতা ছিলেন বাংলা ভাই। সেই দিন তাদেরকে পুলিশী পাহারার ব্যবস্থা করে ছিলেন তৎকালিন রাজশাহী সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। তার নির্দেশে অস্ত্রধারী জঙ্গিরা রাজশাহী মহানগরী দাপিয়ে বেড়ায়। এতে নগর বাসীর মাঝে চরম আতংক সৃষ্টি হয়েছিল।
তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তত্তাবধায়নে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী রহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাবেক গৃহায়ন ও গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির সর্বহারা দমনের নামে শায়েখ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ‘জেএমবি’ এর আবির্ভাব ঘটায়। এ সময় জেএমবি ক্যাডাররা প্রকাশ্য পুলিশ পাহারায় অস্ত্র উচিয়ে রাজশাহী শহরে মহড়া দিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়।
ওই সময় অস্ত্র নিয়ে বাগমারা থেকে রাজশাহী নগরীতে পুলিশ পাহারায় বাংলা ভাই'র সশস্ত্র ক্যাডাররা শহর দাপিয়ে গেছেন। তৎকালিন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ছত্রছায়াতে বাংলা ভাইর উত্থান।
গত ২০০৪ সালের দিকে রাজশাহী অঞ্চলের বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার সঙ্গে চরমপন্থী বা সর্বহারাদের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ওই নেতার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সর্বহারারা। সর্বহারা নিধন অভিযানের শুরুতে রাজশাহী জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শীষ মোহাম্মদের বাসায় তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সঙ্গে বাংলা ভাইয়ের মোবাইল ফোনে কথোপকথন হয়। সর্বহারা নিধন অভিযান চলাকালে ব্যারিস্টার আমিনুল হক ছাড়াও তৎকালীন ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা, শামছুদ্দিন প্রামাণিক ও ডা. ছালেক চৌধুরী ও রাজশাহী সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। নিজস্ব প্রতিবেদক
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়