শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০
পৃথিবীজুড়ে করোনা ভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পরার পর ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। হাট-বাজারে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তানোর উপজেলার চিত্র ভিন্ন। বড় হাটগুলো বন্ধ থাকলেও নিয়মিত চালু থাকা কাঁচাবাজারে নিরাপদ দূরত্ব মানা হচ্ছে না। কেনাকাটার জন্য ভিড় থাকছে কাঁচা বাজার, মাছ ও মাংসের বাজারে। অনেকে একস্থানে বসে জটলা করে প্রয়োজনীয় আলোচনা করে নিচ্ছেন। এতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) তানোর পৌরশহরের গোল্লপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতোই ভিড় বাজারে। মানুষ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাজারে আসছেন, ভিড় করে কেনাকাটা করছেন। কাঁচাবাজার ছাড়াও একই চিত্র মাছ-মাংসের বাজারেও। এছাড়া মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটের দিন থাকায় হাটে ভিড় দেখা গেছে। মানুষ জটলা করে কেনাকাটা করছেন।
হাটে কেনাকাটা করতে আসা প্রভাষক তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই বাজারে অধিকাংশ দোকানই খোলা থাকছে। এই বাজারে বেশিরভাগ দোকান মুদি দোকান। এছাড়া বাকি শাকসবজি। মাছ ও মাংসের আলাদা সেডও আছে এখানে। মুরগি বিক্রি হয় আলাদা একটি স্থানে। এসব বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়নি। এ কারণে মানুষ কেনাকাটার প্রয়োজনে এই বাজারে আসছেন। মাঝেমধ্যে ভিড় জমে যাচ্ছে। যা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
গোল্লাপাড়া বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই বাজারে শুক্র ও মঙ্গলবার বেশি ভিড় থাকে। করোনার কারণে ভিড় কমেছে। সকালের দিকে ভিড় বেশি থাকছে।
গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সারুয়ার জাহান বলেন, মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকানপাট আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, সরকার করোনাভাইরাস বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য একাধিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছেন। বিকেল ৫টার পর উপজেলা জুড়েই ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দিয়েছেন ইউএনও।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়