শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
মিজানুর রহমান, তানোর
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০১৯
রাজশাহীর তানোরে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ উপজেলার বেশীরভাগ মাঠে সকাল সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর পশু কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কোরবানি শেষে পশুর চামড়ার দাম বেশী পাননি কেউই। কেউ কেউ ছাগলের চামড়া ফ্রিতে দিয়ে গেছেন চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার একাধিক চামড়া ব্যবসায়ীদের আড়ত ঘুরে জানা গেছে, এবার ভালো মানের বড় গরুর চামড়া প্রতি পিস সর্বোচ্চ বাজার দর ৪০০ টাকা আর সর্বনিম্ন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবে ছাগলের প্রতি পিস চামড়া দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০০ টাকা আর সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সন্ধ্যার পর চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া না কেনায় অনেকেই ফ্রিতে গরু ও ছাগলের চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে দিয়ে গেছেন।
তানোর পৌরসভার চামড়া ব্যবসায়ী সুকুমার বলেন, আমি ২০ বছর ধরে চামড়া ব্যবসার সাথে জড়িত। চামড়া বাড়িতে সংরক্ষণ করে পরে তা ঢাকায় বিক্রি করি। এবার প্রতিপিস গরুর চামড়া (গাভী) ৫০ থেকে ১০০ টাকা, ভালো বড় গাভী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর অ্যাড়া (পুরুষ) গরু ভালো মানের চামড়া সর্বচ্চ ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা করে কিনেছি। আর ছাগলের চামড়া বেশীরভাগ লোক দাম না থাকায় ফ্রিতে দিয়ে গেছে।
চামড়ার দাম কি কারণে এতো কম জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবছর চামড়ার দরপতনের মূলেই রয়েছে আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। কারণ আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণা করে। এ কারণে বিদেশি চামড়া ব্যবসায়ীরা আমাদের দেশ থেকে চামড়া কিনতে চায় না। একারণে আমাদের দেশে চামড়ার দাম কম।
তানোর পৌর এলাকার ১০ থেকে ১৫ জন বাসিন্দা জানান, আমাদের দেশে প্রতিবছর গরুর দাম বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় চামড়ার দাম কমছে। আর এ কারণে আগের মতো পাড়া-মহল্লায় এবারের ঈদে ঘুরে ঘুরে তেমন ব্যবসায়ীদের কাঁচা চামড়া কিনতে দেখা যায়নি।
তারা আরো জানান, তিন বছর পূর্বে প্রতি পিস গরুর চামড়া দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন যেখানে চামড়া বিক্রি হয়েছে সেখানে ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত যা ভাবাই যায় না।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়