শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২১
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন কৃষকের প্রায় তিনশ বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে চারমাস ধরে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, চার মাস ধরে কলেজ মাঠে পানি জমে আছে। এছাড়াও মাঠের চার পাশে প্রায় তিনশ বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে বিপাকে কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কয়েকশ কৃষকরা।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজ খুললেও ঠিকমত ক্লাশ করতে পারছেন না কলেজের শিক্ষার্থীরা। মাঠে পানি জমায় বন্ধ রয়েছে খেলাধুলাও। এছাড়া জমি ডুবে যাওয়ায় ফসল ফলাতে পারছে না কৃষকরা।
২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছরই চার থেকে ছয় মাস ডুবে থাকে কলেজ মাঠসহ আশেপাশের ফসলের খেত। অপরিকল্পিত পুকুরখননে পাশে ডাহার বিলের নালার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে প্রভাবশালীরা। ফলে গত তিন বছরধরে জলাবদ্ধতায় কলেজ মাঠ ও স্থানীয় কৃষকদের এ দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে একাধিক বার জনপ্রতিনিধিদের বলেও কোন কাজ হয়নি।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ফিরোজ বলেন, কলেজ খুললেও পুরো মাঠ জুড়েই পানি। মাঠ অতিক্রম করে ক্লাশ যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। গত চার মাস থেকে এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু কলেজই না, আশেপাশের প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশ বিঘা ফসলি জমি পানির নিচের তলিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিপাকে রয়েছে কৃষকরাও। তিনি দ্রুত এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপুর পৌর সদর দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুরো মাঠ একেবারেই পানির নিচে তলিয়ে আছে। কলেজের একাধিক শিক্ষকরা জানালেন, এ দুর্ভোগ তাদের গত তিনবছর ধরে।
এছাড়াও আড়াইশ থেকে তিনশ বিঘা কৃষি জমিও পানির নিচে। যেখানে কৃষকরা ধানসহ নানা ফসল উৎপাদন করেন। কিন্তু বিগত বছর ধরে এ সময়টাতে কোন আবাদই করতে পারছে না।
কথা হয় ওই এলাকারই কৃষক হেলাল উদ্দিনের সাথে। তিনি অভিযোগ করে বলেন- পুকুর খননের ফলে ডাহার বিলের নালার মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের এই পানির নিচে তলিয়ে থাকা জমিতে বছরে তিন ধরনের ফসল হতো। এখন শুধু শুকনো মৌসুমে বোরোধান ছাড়া আর কিছুই হয় না। দুই গ্রামবাসীর মিলে প্রায় তিনশ বিঘা জমি ৪ থেকে ৬ মাস পানির নিচে থাকে।
এ নিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের বলেও কোন কাজ হয় না। তবে এবার আমরা কৃষকরা জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে একাজোট হয়ে এসিল্যান্ড অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, কৃষকরা এ বিষয়ে অভিযোগ করলে কৃষকদের পানি নিষ্কাশনের সহযোগিতা করবে প্রশাসন।
তিনি বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে- অপরিকল্পিত পুকুর খননে এই উপজেলায় জলাবদ্ধতা একটা প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিপূর্বে কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকার পুকুরের পাড় ও নালা কেটে অনেক জায়গায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়