শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২২
ফেরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে আনা হয়েছিল মাছটি। দেখতে ভিন্ন। তাই কেউ কেউ কৌতূহলী হয়ে দেখতে আসেন, কেউ আবার ছবিও তোলেন। এ সময় ওই বাজারের রহিদুল নামের এক ব্যবসায়ী মাছটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সেটির নাম জানতে চান। এরপর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী নিশ্চিত করেন, এটি সাকার ফিশ।
এই মাছ পুকুর বা জলাশয়ে চাষ, উৎপাদন কিংবা বাজারজাত করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিসমত গণকৈড় এলাকার ঝিনাইয়ের মোড়ের স্থানীয় বাজারে এই সাকার ফিশ বিক্রি করতে আসেন রতন নামের স্থানীয় এক জেলে। তিনি উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে ফেরি করে বিক্রি করেন।
গত মঙ্গলবার উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী শাহরিয়ার মামুন ওই মাছ দেখে নিশ্চিত করেন, এটা সাকার ফিশ। তিনি বলেন, উপজেলার গণকৈড় ইউনিয়নের সাদেক নামের ব্যক্তির পুকুরে এর আগে একটি সাকার ফিশ পাওয়া যায়। তবে উপজেলায় কোথাও এ মাছ চাষ হয় না। কোথাও দেখাও যায় না। সাকার ফিশ পুকুর বা জলাশয়ে চাষ, উৎপাদন বা বাজারজাত করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই মাছ যেন পুকুর বা জলাশয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না পড়ে সে বিষয়ে উপজেলা মৎস্য বিভাগ সজাগ আছে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, অ্যাকুয়ারিয়ামে এ ধরনের মাছ থাকে। সাকার ফিশ উৎপাদন বা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উন্মুক্ত জলাশয় ও খাল বিলে এ মাছ পড়লে দেশীয় মাছ ধ্বংসের মুখে পড়বে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়