শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
চরম ঝুঁকি নিয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুর সদর হোজা নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঘটতে পারে প্রাণহানির মতও ঘটনা। স্কুল কলেজ খোলার পর হাজারও শিক্ষার্থীর পারাপারের ভরসা এই বেলী ব্রিজ।
দুঘর্টনার কথা চিন্তা করে সিংগা হাট, দুর্গাপুর বাজার দোকান সমিতি, সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা ব্রিজ সংস্কারে দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২০১০-১১সালে দুর্গাপুর সদর হোজা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতু নির্মাণকালে বিকল্প সংযোগ সেতু হিসেবে পাশেই নদীর ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে বিকল্প হিসেবে ব্রিজটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
প্রতিদিন দুর্গাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি কিন্ডার গার্টেন কেজি স্কুলের হাজারও শিক্ষার্থী, সিংগা হাটের জনসাধারণ, থানা স্টাফ ও কালিমন্দিরে লোকজন যাতায়াত করে।
বর্তমানে ব্রিজটি যাতায়াতের একবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্ট্রীলের ব্রিজ দীর্ঘদিন সংস্কার না হয়ে মরিচা ধরে খসে পড়ে মারাত্মক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্গাপুর সদর সিংগা হাটবাজারের লোকজনসহ প্রায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে।
দুর্গাপুর সদর বাজারের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মজিবুর রহমান জানান, এই বেইলি ব্রিজকে কেন্দ্র করে অসংখ্য দোকানপাট নির্মাণ হয়েছে। সেখানে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে রুজি রোজগার করছেন। এছাড়াও প্রায় ৫ টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিকল্প হিসেবে এ ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন। ব্রিজটি নতুন সংস্কারের নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মাইশা ও রাইসুল বলেন, প্রতিদিনই বাজারের প্রধান রাস্তায় প্রচন্ড ভিড় থাকে। আমরা শিক্ষার্থীরা বিকল্প বেইলি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করি। তবে এ ব্রিজের অবস্থা এখন মারাত্মক খারাপ হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় পা গর্তে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে নতুন করে বেইলি ব্রিজ সংস্কার করা হলে হাজারও শিক্ষার্থীর সুবিধা হবে।
দুর্গাপুর বাজার সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব বলেন, বিকল্প যাতায়াত হিসেবে বেইলি ব্রিজটি খুই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। হাটবাজারসহ প্রায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই ব্রিজের ওপর দিয়েই যাতায়াত করে। নতুন করে সেখানে ব্রিজ সংস্কার করা হলে দুর্গাপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
রাজশাহী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বলেন, মানুষের যাতায়াতের সুবির্ধাতে আমরা ব্রিজ খুলে নিয়ে আসিনি। অনেক পুরাতন হওয়া হয়তো বা ব্রিজটি ভেঙে চুরে গেছে। সেখানে নতুন করে বিজ্রটি নির্মাণ করার আপাতত চিন্তা ভাবনা নেই। তবে মানুষের সুবিধার্থে বিজ্রটি আমরা সংস্কার করে দিতে পারি।
রাজশাহী-৫ দুর্গাপুর পুঠিয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনুসর রহমান বলেন, বেইলি বিজ্রটি বিকল্প হিসেবে নির্মাণ করেছিল রাজশাহী সড়ক ও জনপদ বিভাগ। দীর্ঘদিন হওয়ায় ব্রিজটির বর্তমান অবস্থা নাজুক। স্থানীয়রা এ বিষয়ে আমার সাথে কথা বলেছেন। যেহেতু একেবারেই দুর্গাপুর সদরের ওপর, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়