শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৪
রাজশাহীর বাগমারায় অগ্নিকান্ডে ৮ কৃষকের পান বরজ (পান ক্ষেতে) ভষ্মীভূত হয়ে গেছে। এতে ওই ৮ পরিবারের অন্ততঃ ১৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বাগমারা থানার সন্নিকটে শ্রীপুর গ্রামে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের তৎক্ষণিক জোর তৎপরতায় মাঠের আরো অনেক পান বরজ রক্ষা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে আজ দুপুরের ২টার দিকে হঠাৎ করে একটি পান বরজের উপরে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পায় অদূরে স্থানীয় এক গৃহবধূ। আগুনের বিষয় বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে আসে পাশের লোক ছুটে আসে আগুন নিভাতে। ওই এলাকার কৃষকরা বেশী ভাগ পানচাষের উপর নির্ভশীল। গ্রামে মাঠের পর মাঠ একটি পান বরজের সাথে অন্য পান বরজ লাগানো। প্রখর খরার কারণে এক পান বরজ হতে অন্য পান বরজে সহজে আগুন দ্রুত বিস্তার করতে থাকে।
এতে গ্রামের ও আসে পাশের গ্রামের লোকজন কলস, ড্রাম, পাতিলসহ সেচযন্ত্রসহ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে আগুনের ছড়িয়ে ওই মাঠের ৮টি পান বরজ পুড়ে যায়।
ক্ষতি গ্রস্ত পানচাষি ইয়ছিন আলী জানান, তার ১ বিঘা জমিতে পান বরজ। তার পান বরজে বেশ কিছু দিন ধরে পান না ভাঙ্গায় পান ভর্তি ছিল। আগুনে পানসহ তার ৩ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। একই ভাবে পান বরজ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার জানান,পানসহ তার বাড়তি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পান বরজ ক্ষতি গ্রস্তরা হলেন, আবু বাককার, আম্মাদ আলী, মোহম্মাদ আলী।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মুকবুল হোসেন মৃধা জানান, উপজেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অনেক দূরে। থানার বা উপজেলা সদরের কাছে হলে আগুন সহজে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়। তবে গ্রামের লোকজনের দ্রুত গতির ভূমিকায় মাঠে অন্যদের পান বরজ রক্ষা পেয়েছে।
এদিকে কি ভাবে এই আগুনেরর সূত্রপাত তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয় কয়েকজন জানান, ওই এলাকায় কিছু বকাটে ছেলে রয়েছে। তারা প্রায় পান বরজের ধারে গাঁজা সেবন করে। তাদের আগুন লাগানোর হাত আছে এমনটি জানিয়েছেন তারা। পানবরজ ভস্মীভূত ঘটনায় ওই এলাকায় হা-হা-কার রুপ ধারণ করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম জানান, ঘটনার জানার পর পরই তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
অপর দিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়র কর্মকর্তা রাজিব আল রানা বলেন, প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষির সাথে দেখা করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমান এখনো নির্ধারন করা হয়নি। ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করার পরেই ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারী ভাবে সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়