শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৩
আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো রাজশাহী জেলা তাবলিগ ইজতেমা। গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) বেলা ১২টার দিতে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। এই মোনাজাত চলে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
প্রায় ৩০ মিনিটের এ মোনাজাতে অংশ নেয় হাজারও মুসল্লি। এসময় হাজার মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হতে থাকে রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের হযরত শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। মোনাজাত পরিচালনা করেন, মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
এদিন ইজতেমার মাঠের আশপাশের বাসাবাড়ি, ভবন, ভবনের ছাদ, সড়কের পাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ পত্রিকা, পাটি, চট, জায়নামাজ, পলিথিন বিছিয়ে বসেছিলেন রাস্তায়। মোনাজাতে দেশ ও মুসলিম জাতির শান্তি-ঐক্য কামনা করে দোয়া করা হয়। বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের মুক্তির জন্য মোনাজাতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়। শেষে হযরত শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে যোহরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। যোহরের নামাজে ইজমেতায় আসা মুসল্লিদের মধ্যে অনেকেই অংশ নেয়।
চারঘাটের ইউসুফপুর থেকে ইজতেমায় আসা জোয়ারদার হোসেন বলেন, প্রথমদিন রাজশাহীর এই ইজতেমায় আসি। তিনদিন এখানেই ছিলাম। একসাথে ১২ জন এসেছি। পাশের এলাকা থেকে আরো মানুষ এসেছেন। এই প্রথম রাজশাহীর ইজমেতায় আসলাম। টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজমেতায় অনেক বার গিয়েছি। ইজতেমার শেষ দিনে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম। পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম। আল্লাহ যেনো ইমানি হালাতে মৃত্যু দান করেন সেই কামনা করলাম।’
বাগমারা থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ইজতেমায় আসার পরে ইসলামের বিভিন্ন শিক্ষা পাওয়া যায়। এলেম ও আমলও শেখা যায়। ইজতেমায় আসার পরে আমরা অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি। তাদের থেকে দিনের বিষয়ে অনেক শিক্ষা পেয়েছি। এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পরে কোরআনের বিভিন্ন সূরা পড়া হয়। সূরাগুলো পড়ায় কোন ভুল হলে মুরব্বিরা সেগুলো সংশোধন করে দেন। একই সাথে এখানে কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ও যোহরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডে জড়ো হয়। নগরীর শিরোইল, ভদ্রা ও তালাইমারী বাস স্ট্যান্ড ছাড়াও গোরহাঙ্গা রেলগেটে বিভিন্ন যানবাহনে উঠে নিজ নিজ বাড়ি ফিরেছেন তারা। এর আগে গত ২ মার্চ রাজশাহীর হযরত শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই ইজতেমা শুরু হয় । তিন দিনব্যাপি এ জেলা তাবলিগ ইজতেমায় জেলার হাজারও মানুষ অংশ নেয়। বিশেষ করে আখেরি মোনাজাতে নামে ঈদগা মাঠে নামে মুসল্লিদের ঢল।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রফিকুল আলম বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে রাজশাহী জেলা তাবলিগ ইজতেমা শেষ হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়