শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১
|| ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮
বুধবার বেলা ১১টায় গণভবনে এই সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আলোচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদকে নিয়ে কামাল হোসেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবনে পৌঁছান।
৭ নভেম্বর উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ গণভবনে পৌঁছান কামালের পরপরই।
দ্বিতীয় দফার এই সংলাপে জেএসডির আসম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরামও থাকছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণভবনে ঢুকে লবি হয়ে ব্যাংকোয়েট হলে নির্ধারিত আসনে বসেন।
এ সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে থাকছেন আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আনিসুল হক, দীপু মনি ও শ ম রেজাউল করিম।
এছাড়া শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবারের সংলাপেও থাকছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
কামাল হোসেন জোটের সাত দফা দাবি তুলে ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘সংবিধানসম্মত বিষয়ে’ আলোচনার জন্য ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানান।
কিন্ত গত ১ নভেম্বর গণভবনে বহু আলোচিত সেই সংলাপ শেষে গণফোরাম সভাপতি কামাল বলেন, এ আলোচনায় বিশেষ কোনো সমাধান তারা পাননি। আর জোটের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির ফখরুল বলেন আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট নন।
এরপর গত ৪ নভেম্বর আবার সংলাপ চেয়ে কামালের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হলে বুধবার বেলা ১১টায় ‘ছোট আকারে’ সংলাপের সময় দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়া এবং ইভিএম ব্যবহার না করার দাবিও রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার মধ্যে।
মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা থেকে মির্জা ফখরুল ঘোষণা দেন, সংলাপে তাদের দাবি পূরণ না হলে ৮ নভেম্বর রাজশাহী অভিমুখে রোড মার্চ করবেন তারা। রাজশাহীতে ৯ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের জনসভা হবে।
আর সমঝোতার আগেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির এই নেতা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়