বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ৩১ ১৪৩১
|| ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৫ মে ২০২২
নঁওগার আত্রাই উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন রাজশাহীর বাঘার কদম আলী (৫৪) নামের এক ব্যক্তি। বুধবার (৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কদম আলী বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে কদম আলীসহ ২২ জনের একটি দল গত ২২ এপ্রিল নঁওগার আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামে ধান কাটতে যায়। সেখানে তারা দু’টি দলে ভাগ হয়ে যায়। কদম আলীসহ ৭ জন হাবিব মন্ডলের ছেলে রানা মন্ডলের বাড়ি গিয়ে ধান কাটতে শুরু করে। কয়েকদিন তারা ধানও কাটেন। ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৭ জনের মধ্যে কদম আলীর বুকে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু করে। বাড়ির মালিককে সাথে নিয়ে তারা স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানেই মারা যায়।
কদম আলীর স্ত্রী ও দুটি মেয়ে রয়েছে।
কদম আলীর ৫ ভাই ও ৫ বোন রয়েছে। তাদের মাত্র ১০ কাঠা জমি। এই জমির উপর ছোট ছোট টিনের ছাপরা ঘর তুলে তারা বসবাস করে। তারা দিনে আনে দিন খায়। কদম আলীর স্ত্রী ও দুটি মেয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই মেয়ে দুটির বিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমদ আলী মারা যাওয়া তার স্ত্রী নারগিস বেগম নিশ্ব হয়ে গেল। এখন কী করে চলবো, কী করে খাব, কোন কিছুই তো নাই। বুধবার তার বাড়িতে গেলে মেয়ে বাবলি খাতুনের গলা ধরে মাকে এমনি আহাজারি করতে দেখা গেছে। কোন মতে তার আহাজির থামানো যা”েছনা। তার ঘরের অব¯’া ভাল না। বেড়াগুলোর মাটি খসে পড়ছে।
এ বিষয়ে কদম আলীর ভাই রুহুল আমিন বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে আমিও ধান কাটতে গিয়েছিলাম। এক দলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ধান কাটার কাজ করি আমরা। ঈদের দিন নামাজ শেষে বাড়ির মালিক ভাল খেতেও দিয়েছিল। ঈদের পরের দিন থেকে আবার ধান কাটা শুরু করবো। কিন্তু তার আগেই রাত সাড়ে ৩টার পর থেকে ভাইয়ের বুকে ব্যাথা শুরু হয়। আমরা স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর ভাই মারা যায়। পরে বাড়ির মালিক স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভাইয়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে জানাজা শেষে দুপুরে দাফন করা হয়েছে। আমরা ৫ ভাই ও ৫ বোন। আমাদের মাত্র ১০ কাঠা জমি। এই জমির উপর ছোট ছোট টিনের ছাপরা ঘর তুলে বসবাস করি। তারা দিনে আনে দিন খায়। কদম আলীর স্ত্রী ও দুটি মেয়ে রয়েছে।
আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নওশাদ আলী বলেন, আমি কদম আলীর বাড়িতে সকাল থেকে লাশ দাফন করা পর্যন্ত ছিলাম। এটি একটি অনাকাংক্ষিত ঘটনা। তবে কদম আলী একজন অত্যান্ত দরিদ্র মানুষ। তার বাড়ির ভিটা ছাড়া কোন জমি নেই। কাজ করে কোন মতে সংসার চালায়। তবে কোন সুহৃদবাদ ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তার স্ত্রীর উপকৃত হতো।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়