শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১
|| ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮
পবা ও মোহনপুর উপজেলা নিয়ে রাজশাহী-৩ আসন। পবা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা পদ্মা নদী তীরবর্তী। এমনকি পদ্মা নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খন্ড রক্ষা করছে এই পবা উপজেলার পরিধি। প্রতি বছরই ভাঙন ধরে পদ্মায়। জমিজমা হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়। পাশাপাশি বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে ওই এলাকার জনগণের। একদিন স্বপ্ন দেখতো দেশের অন্যান্য স্থানের মত রাজশাহীর পবায় যদি একটা আশ্রয়কেন্দ্র থাকতো তবে বন্যায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমাল নিয়ে রক্ষা পাওয়া যেত।
এলাকাবাসীর সে আশা পূরণ হয়েছে। পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার পদ্মার তীরে শ্যামপুর দাখিল মাদ্রাসা চত্বরে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় এই আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে। এতে ৮৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
এ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাটাখালি পৌর মেয়র আব্বাস আলী, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল হক, পবা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাশির, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এমদাদুল হক প্রমুখ।
বর্ষা মৌসুমে তীর ছাপিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়া, তীরভাঙন এবং তীর রেখার পরিবর্তন খুবই সাধারণ চিত্র। বন্যা প্রবণ ও নদীভাঙন এলাকায় বিপদাপন্ন মানুষের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জীবন, প্রাণি সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদেও সুরক্ষার জন্য এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কাটাখালি পৌর মেয়র আব্বাস আলী বলেন নদী ভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন বা বন্যার সময় গৃহপালিত পশুপাখিসহ আশ্রয় গ্রহণসহ অনেকের থাকার মতো এই আশ্রয়কেন্দ্র।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়