শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||
জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
|| ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৮
বুধবার এ সংক্রান্ত এক গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন-১) বিকাশ কুমার সাহা এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন।
গেজেটে বলা হয়েছে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এ বিচারধীন বিশেষ মামলা নম্বর ১৬/২০০৮, যাহা তেজগাঁও থানার মামলা নম্বর ২০(১২)০৭, এর বিচার কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের বকশি বাজার এলাকায় সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে পরিচালিত হচ্ছে।
বর্নিত মামলার বিচার কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে বিধায় নিরাপত্তাজনিত কারণে এ মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করিবার জন্য ঢাকা মহানগরের ১২৫ নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এর প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর ০৭ কে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
বৃহস্পতিবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শেষ দিকের বিচারও অনুষ্ঠিত হয়েছে এই এজলাসে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় পরের বছরের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়