বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৫ ১৪৩১
|| ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আমার রাজশাহী ডেস্ক :
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৩
হেমন্তের দুপুরে গ্রামে ঢোকার রাস্তার ঠিক মুখটায় একটা সাদা গাড়ি এসে থামল। সামনে গ্রামবাসীদের ভিড়। গাড়ি থেকে নেমে এলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সোজা এগিয়ে প্রাচীন এক গাছতলার বেদিতে উঠে জনসাধারণের উদ্দেশে হাত নাড়লেন। জোর গলায় বললেন, আপনারা কেমন আছেন? আমি আপনাদের অমৃতা।’
সাধারণ মানুষ তত ক্ষণে হাততালি দিতে শুরু করেছেন। দুটো টেকেই শট ওকে। পরিচালকের চোখেও খুশির ঝলক। পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্যের নতুন ছবি ‘গাজনের ধুলোবালি’র আউটডোর শুটিং চলছে মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জে।
ঋতুপর্ণা ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, লোকনাথ দে, শ্রেয়া সিংহ, দেবপ্রসাদ হালদার প্রমুখ। হোটেল থেকে গাড়িতে মিনিট পনেরোর দূরত্বে বেণীপুর। সেখানেই চাঁদাবাগ গ্রামে সেট ফেলেছে ইউনিট। ঋতুপর্ণার শট শেষ হতেই ইন্দ্রাশিস বললেন, ‘রিয়্যাল লোকেশনে স্থানীয় মানুষদের নিয়ে শুটিং করার মজাই আলাদা।’
তবে পাশাপাশি অন্য কথাও জানালেন পরিচালক। প্রতি দিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন লোকেশনে। দাবি একটাই— এক বার ঋতুপর্ণাকে চোখের সামনে দেখতে চান তারা। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে অভিনেত্রী অবশ্য অনুরাগীদের সেই আবদার মিটিয়েছেন হাসিমুখে।
‘বিলু রাক্ষস’, ‘পিউপা’, ‘পার্সেল’ হয়ে ‘নীহারিকা’— এর আগে দর্শক ইন্দ্রাশিসের কাছ থেকে যে ধরনের ছবি পেয়েছেন, এই ছবিটি কিন্তু সেগুলির তুলনায় বিপরীত পথে হাঁটবে। কারণ পরিচালকের মতে, এই ছবিতে তিনি সামাজিক হিংসার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধান করতে চাইছেন। ইন্দ্রাশিস বললেন, এখন সমাজে ভক্তি এবং ঘৃণা— এই দুটো বিষয় চরমে পৌঁছেছে। ফলে সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র হিংসা একটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।’
গল্প নিয়ে এখনই বিশদে যেতে নারাজ পরিচালক। তবে জানালেন, ঋতুপর্ণার চরিত্র অমৃতার স্বামী সাংবাদিক। গ্রাম থেকেই সে নিখোঁজ হয়। স্বামীর সন্ধানে এসেই তার সামনে একের পর এক সত্য উন্মোচিত হতে শুরু করে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়