সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২৩ ১৪৩১
|| ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২
বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা এখন বাস্তবতা। যে সেতু নিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা কাজ করছে। এই প্রতিবেদকের কাছে পদ্মা সেতু নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করলেন বাস ও ট্রেনযাত্রীরা।
নগরীর শিরোইল ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত যাত্রী নাদিম হাসান বলেন, দেশে উন্নয়ন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি চলমান রয়েছে। এটা অস্বীকার করার কিন্তু কোনো উপায় নেই। বাঙালি হিসেবে আমরা খুব আনন্দিত। আমাদের দেশে এমন সেতু হওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল।
সেতু সম্পূর্ণ হয়েছে। উদ্বোধন হবে। আমি মনে করি, এটা একটা ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের কাছে একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ পেরেছে এমন স্রোতধারা নদীর বুকে সেতু করতে। এটা আমাদের দেশের আত্মমর্যাদা ও গৌরবের বিষয়। প্রত্যাশা এখন দেশ যত উন্নয়ন হবে, তা সকলের জন্যই মঙ্গলকর। আমি রাজশাহী থাকি বা ঢাকায়। দেশের উন্নয়ন হলে কোনো না কোনোভাবে আমাদেরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। সব দিক চিন্তা করে ব্যক্তিগতভাবে পদ্মা সেতু হওয়ায় আমরা লাভবান হব।
জান্নাতুল নাঈম বগুড়াগামী বাসের জন্য ভদ্রামোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। পদ্মাসেতু সম্পর্কে তিনি বললেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। এটা জাতির জন্য গর্বের। আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইলে, পত্রিকায় পদ্মাসেতুর আপডেট পেয়ে চলেছি। পদ্মা সেতু আমাদের ইকোনমিতে বড় প্রভাব রাখবে। আমরা যারা শিক্ষার্থী তাদের হয়তো অজানা কিছুই নেই। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। তবে এখনো আমার পদ্মা সেতুতে যাওয়া হয় নি। যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আমরা উত্তরের হলেও আমরা নদীর মানুষ।
খুলনাগামী ট্রেনের টিকেট কাটতে আসা মাজহারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু এটা যে কী বলে বোঝানোর মত না। এটা আমাদের বহু বছরের দাবি। এই দাবি এতো বছর পর পূরণ হলো। ফেরিতে চলাচল টিভিতেই দেখাতে ভালো। বাস্তবে কঠিন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করতে হয়। ট্রেনে ৬ ঘণ্টায় আমি রাজশাহী থেকে খুলনা চলে যাব। আমার কোনো টেনশন থাকবে না। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সেই ভরসা ছিল না। তারা ফেরিতে করে অনেক সময় নষ্ট করতে হয়েছে। কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আর এখন পদ্মা সেতুর ফলে ফেরি আশায় থাকবে না। পদ্মা সেতুতে স্বস্তি ফিরেছে সবার।
পাবনা থেকে রাজশাহীতে আসা যাত্রী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার। এতো বৃহৎ একটা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি আনন্দিত। পদ্মাসেতুকে ঘিরে আশপাশের জেলায় এখন অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়