শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২২
রাজশাহীর পবা উপজেলায় আইনগত প্রক্রিয়ায় জমি বুঝিয়ে নেয়ার বিপরীতে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত সহিদা আমিনের বসতবাড়িতে এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
জানা যায়, পবার নওহাটা মৌজার আরএস ৭১২ নম্বর দাগে একটি জমি নিয়ে সহিদা আমিনের সঙ্গে নগরীর রানী বাজার এলাকার গনি মন্ডলের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই এর বিরোধ চলছিলো। মামলায় অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই এর পক্ষে রায় আসে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে ২৫ জুলাই কিন্তু অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই আইনগত পক্রিয়া সম্পন্ন না করেই সহিদা আমিনের কেনা অন্য জমির উপর নির্মিত সীমানা প্রচীরে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভাংচুর চালান। এছাড়া সহিদা আমিন ও তার পরিবারকে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী সহিদা আমিনের অভিযোগ, তার বাড়ি দুটি দাগের উপর রয়েছে। ৭১২ নম্বর দাগের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছিলো। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জারীকারক আইনাল হক হঠাৎই ২০-২৫ জন লোকসহ তার বাসায় আসেন। বাড়ি দখলে দিতে বলেন। কিন্তু তার কাছে এ সম্পর্কিত আদালতের কোন কাগজ পাঠানো হয়নি।
জারীকারক আদালতের কাগজ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার অন্য দাগের কেনা জমিতে যে প্রাচীর আছে সেখানে ভাংচুর চালায়। এছাড়া তাকেসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যদের হুমকি দিয়ে যায়। পরে তারা বাধ্য হয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সহিদা আমিনের অভিযোগ, মৃত গণি মন্ডলের ছেলে রাজশাহী জেলা বিএনপির (সাবেক) সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে রাজশাহী জেলা যুবদলের (সাবেক) সহ-সভাপতি শরিফুর রহমান শরীফ, রাজশাহী জেলা যুবদলের (সাবেক) যুগ্ম সম্পাদক একাধিক সন্ত্রাসী মামলার আসামী আওয়াল, নওহাটা পৌর ১নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম, নওহাটা পৌর যুবদলের (সাবেক) যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানসহ আরও বেশকিছু সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাকে এখান থেকে উচ্ছেদ করতে আগে থেকেই এই চক্রটি ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে আসছিলো। আর এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আদালতের ওই জারীকারককেও সর্ম্পক রয়েছে বলে অভিযোগ তার। এ অবস্থায় তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের নাজির জয়দুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে ওই জারিকারক জমির মালিককে দখল বুঝিয়ে দিতে গিয়েছিলেন। তবে পূর্বে থেকে যিনি দখলে আছেন তিনি যদি দখল দিতে না চান সেক্ষেত্রে তাকে চলে আসতে হবে। পরে পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। নিয়ম অনুসারে ওই জারিকারক আইনাল হক চলেও এসেছেন। তবে এরমধ্যে অন্যকেউ পাশের অন্যদাগের বসতভিটায় হামলা চালিয়েছেন কি না? এটা জানা নেই। তবে জারিকারকের বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, ৯৯৯ এ ফোন পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। জমি সংক্রান্ত বিষয়। সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়