শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১৩ ১৪৩১
|| ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২১
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় মারপিটে আহত এক স্কুলশিক্ষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোররাত তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম সোহেল রানা (৩৫)। তিনি উপজেলার মাহেন্দ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান আলীর ছেলে। পুঠিয়ার দোমাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি।
পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি জানান, সম্প্রতি পুঠিয়ার মাহেন্দ্রা বাজারে একটি দোকানের জায়গা কেনেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান আলী। কিন্তু জায়গাটি একই গ্রামের ভাদু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও মাজেদুল ইসলাম নিজেদের দাবি করে দখল নেয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিবার সমঝোতায় বসেও কোনো সুরাহা হয়নি।
সর্বশেষ গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আবারও মাহেন্দ্রা বাজারে উভয়পক্ষ মিমাংসায় বসেন। একপর্যায়ে কাজুল ও মাজেদুলসহ তাদের সহযোগী সুলতান ও জুবায়ের লাঠি দিয়ে সোহেল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সেখানে মারা যান।
বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় দিকে সোহেল রানার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সেদিন মাজেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এখন সোহেল রানার মৃত্যু হওয়ায় মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়েছে। সোহেলের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়