শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
মিজানুর রহমান, তানোর
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২০
প্রবল মনোবল আর পরিবারের ভালোবাসায় এক চোখ দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার আল-আমিন। কিন্তু মনোবল প্রতিবন্ধী নয়। কী করে সে উচ্চ শিখরে অবস্থান করবে এ চিন্তা-চেতনায় সামনের সিঁড়িতে এগোচ্ছে আল-আমিন।
প্রাথমিক গন্ডি পেরিয়ে বাড়ির পাশে জিওল দাখিল মাদ্রাসায় নিজের ইচ্ছায় ভর্তি হয়। মানুষের জমিতে কৃষিকাজ করে সংসার চালান বাবা। সংসারে অভাব অনাটনে তিন ভাই-বোনের পড়ার খরচ বহন করতে হিমশিম খান তিনি।
এ অবস্থা বুঝে বাবার সঙ্গে মানুষের জমিতে দিনমজুরের কাজে নেমে পড়ে আল-আমিন। এভাবে কাজ করেও ২০১৪ সালে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পায় আল-আমিন।
আল-আমিনের বাড়ি তানোর পৌরশহরের জিওল এলাকায়। তার বাবা ইয়াসিন আলী। মাতা নুরনাহার বেগম গৃহিণী। তিনিও মাঝে মধ্যে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।
আল-আমিন জানান, ইবতেদায়ি পরীক্ষার পরই পড়ার খরচ চালাতে পারেনি পরিবার। বাবাকে সহযোগিতা করতে লেখাপড়ার পাশাপাশি দিনমজুরের কাজ শুরু করে সে। জমিতে ধান রোপণ ও ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার, আলু রোপণ ছাড়াও কীটনাশক প্রয়োগসহ আলু পরিচর্চার কাজ করে আল-আমিন।
যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার খবর পায়, সেই দিনও আলুর জমিতে দিনমজুরের কাজ করছিল আল-আমিন। তবে, তার প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগে চান্স পায় সে। তার স্মার্টফোন নেই। সম্পর্কের এক বড়ভাইয়ের ফোনে রেজাল্ট দেখেছে।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে আল-আমিন ও তার বাবা-মা। এ অবস্থায় সরকার কিংবা কোনো হৃদয়বান ব্যক্তির সাহায্য সহায়তা পেলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে তার পরিবার।
বর্তমানে আল-আমিনের ইচ্ছে পড়ালেখা শেষে প্রশাসনিক ক্যাডার অফিসার পদে চাকরি করার।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়