শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২০ ১৪৩১
|| ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩
টানা পঞ্চমবারের মতো রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়াই মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বাদ মাগরিব গোদাগাড়ী উপজেলা সদর শহীদ ফিরোজ চত্ত্বরে মিষ্টি বিতরণ ও দলীয় নেতাকর্মীর মিষ্টি মুখ করেন।
গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক নাসিমুল হক নাসিমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ ও মিষ্টি মুখ করেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে।
পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল জাব্বার বলেন, সকলকে চমক লাগিয়ে আবারও শেখ হাসিনা আমাদের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে। প্রকৃত অর্থে ফারুক চৌধুরী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন। আমরা সকলেই খুশি হয়ে আমি মিষ্টি বিতরণ করেছি এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মিষ্টি মুখ করিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবারও নৌকার বিজয় এনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো। এসময় পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম মনোনয়ন পান। সেই সময় বিএনপির হেভি ওয়েট নেতা ও সাবেক মন্ত্রী প্রায়াত ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের কাছে পরাজিত হন। এর পর ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় ব্যারিষ্টার আমিনুল হক জঙ্গিমদদ দাতা ও বাংলাভায়ের উত্থানের অভিযোগে কারাদন্ড হয়ে বিদেশে পলাতক থাকায় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারেননি। তার বড় ভাই বাংলাদেশ পুর্লিশের সাবেক আইজিপি ড. এনামুল হক বিএনপির টিকিট নিয়ে ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করে। ওই ভোট ওমর ফারুক চৌধুরী বিপুল ভোটে ড. এনামুল হককে পরাজিত করে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে টানা তিন বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে মন্ত্রী সভার রদবদল হলে তিনি শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২০১৪ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে মন্ত্রী সভায় ঠাই না হলেও তিনি শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে।
২০০০ সালের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করার পর তিনি প্রথমে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ওমর ফারুক চৌধুরী জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের আপন ভাগ্নে।
এদিকে টানা পঞ্চম বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হওয়ায় গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়