শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ২০ ১৪৩১
|| ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার অনেক উন্নত, উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশকে আমরা বদলে দিয়েছি। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণের কারণে বদলে গেছে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় রাজশাহী নৌবন্দর উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
এর আগে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে নৌবন্দর উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন প্রায় ৬ দশক পর আনুষ্ঠানিকভাবে নৌপথটি খুলে দেওয়া হলো। জানা গেছে, রাজশাহীর গেদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌঘাটের নদীপথে দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের ঘাটটি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণের পদ্মার শাখা নদী মহানন্দার মোহনার কাছাকাছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে এ নৌপথ দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হতো। তবে নানা কারণে দীর্ঘদিন এ নৌপথ ও নদীবন্দর বন্ধ ছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সুলতানগঞ্জের এ পয়েন্টে সাধারণত সারা বছরই গভীর পানি থাকে। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের ময়া নৌবন্দরটি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা শহরের কাছে ভারতীয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত। ফলে সুলতানগঞ্জ-ময়া পথে নৌবাণিজ্য শুরু হলে পণ্য পরিবহন খরচও অনেক কমবে, সময়ও বাঁচবে অনেক। এছাড়া নৌবন্দরটি চালু হলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
নৌবন্দরটি চালু করতে প্রথম থেকেই অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের। এটি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। শেষ পর্যন্ত এটি অনুমোদন পেয়ে উদ্বোধন হচ্ছে। বাংলাদেশ হয়ে ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্তের সাতটি প্রদেশ রয়েছে, সেগুলোতে মালামাল পৌঁছে দেয়ার পথও সুগম হলো নৌবন্দর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।
৫৯ বছর পর এ নৌবন্দর চালুর ফলে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যের হাতছানি দিচ্ছে। নৌবন্দরটি চালু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন মাইলফলক হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়